খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটাল হিলের বাইরে ও দেশটির বিভিন্ন শহরে বড়সড়ো বিক্ষোভ হয়েছে।
শনিবারও এ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এসব বিক্ষোভে ব্যাপক সংহিসতার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। খবর রয়টার্স, সিএনএন, এএফপির।
মূলত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ট্রাম্পের বিজয়ের পরই মার্কিনিরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। সে সময় থেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়ে আসছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল থেকে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নেন। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা অনেক দোকানে ইট-পাথর ছুড়েছে। পুলিশ ভ্যানেও আগুন দিয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় রাখা ডাস্টবিনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মরিচ পানির স্প্রে, টিয়ারশেল ছুড়েছে। হেলিকপ্টার থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র কোনো কোনো স্থানের বিক্ষোভকে দাঙ্গার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ অবৈধ। যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ট্রাম্প যেন মনে রাখেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্তর্র্বতীকালীন প্রধান পিটার নিউসাম বলেছেন, তিনজন পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত লেগেছে। অন্যদের আঘাত তত গুরুতর নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পের শপথের পরদিন শনিবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলোটের সামনে প্রায় ৩ হাজার নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন।
আর নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে প্রায় ২ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে শনিবার সকালে ট্রাম্প সমর্থকরা বেশ নিরাপদে ওয়াশিংটনে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে র্যালি করেছে। এ র্যালিতে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ অংশ নেন।
মার্কিন ইতিহাসে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ১৮৬১ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল।
সে সময় ওয়াশিংটনে জমায়েত হওয়া বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। সম্ভাব্য হামলা এড়াতে লিংকনকে গোপনে অভিষেক কেন্দ্রে হাজির করানো হয়।