খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭: ইতিহাস গড়ে এসেছিলেন, যাচ্ছেনও ইতিহাস গড়েই! যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিদায়টা যেন একটু বেশিই করুণ মনে হচ্ছে। কান্নার জলে তাকে বিদায় জানালেন সহকর্মীরা। এত দিন যেখানে ছিল তার বাস, যেখানে কাটিয়েছেন স্মৃতির সোনালি অনেকটা সময় সেই প্রিয় ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিল হোয়াইট হাউস এখন আর তার নয়! এক জীবনে কোনো কিছুই স্থায়ী হয় না, সেই অনুপাত মেনে যেন সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাকে।
বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে ধরেন তার প্রশাসন কর্মীরা; এমন কিছু ছবি এসেছে হোয়াইট হাউসের ব্লগে। এর আগে, শেষবার সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিদায় জানান ওবামা। দীর্ঘ এক ঘণ্টার বক্তব্যে শোনান, গণতন্ত্র রক্ষায় সংবাদমাধ্যমের অপরিহার্য ভূমিকার কথা। এ সময় হাউসের প্রেস কর্পসকেও আন্তরিক ধন্যবাদ দেন তিনি।স পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে একে একে হাত মেলান; দেখান ‘বিজয়’ চিহ্নও। নতুন দায়িত্ব নিতে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপদেশ দিতেও ছাড়েননি তিনি।
ট্রাম্প যখন ক্ষমতা বুঝে নেবেন তখন সাবেক কমান্ডার ইন চিফ তার স্ত্রী মিশেল এবং দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়াকে নিয়ে পাম স্প্রিংয়ের সাগর সৈকতে ঘুরবেন; সময় কাটাবেন। পাশাপাশি ওবামা লিখতে চান বইও। এর মধ্যে স্মৃতি কথামূলক বই থাকতে পারে বলে গুঞ্জন। এর আগে, হোয়াইট হাউসে শেষবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ পরমাণু অস্ত্রের মজুদ কমাতে কাজ করা উচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় বয়ে যাচ্ছে। দ্রুতই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো না গেলে তা দুই দেশ, তাদের জনগণ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ওপরও হুমকি হতে পারে,’ যোগ করেন ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছিলেন বারাক ওবামা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন।
এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায়ও বিজয়ী হন। শুরু থেকেই বিভিন্ন বিরোধিতা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে তাকে কাজ করে যেতে হয়েছে। সার্বিকভাবে দীর্ঘদিন স্মরণ রাখার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক হয়তো হতে পেরেছেন ওবামা!