Sat. Aug 9th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৭: 44২০০৭ থেকে ২০১৭। দশ বছরের ব্যবধান। এই দশ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের চারজন ক্রিকেটার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ওয়ান্ডে সেঞ্চুরিয়ানও রয়েছেন।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার এই চার ক্রিকেটার হলেন মেহরাব হোসেন অপি (সাবেক), রুবেল হোসেন, শাহাদত হোসেন রাজীব ও আরাফাত সানি।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আরাফাত সানিকে রোববার ভোরে নিজ বাড়ি সাভারের আমিন বাজার থেকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। নাসরিন সুলতানা নামে এক তরুণী সানির নামে এই মামলা করেন।
সানির বিরুদ্ধে অভিযোগ-তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর নিরাভরণ ছবি প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।

সানির আগে ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জাতীয় দলের পেসার শাহাদত হোসেন রাজীব। তার আগের দিন গ্রেফতার হন রাজীবের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য।
গত বছরের ৬ নভেম্বর মামলায় ক্রিকেটার শাহাদত হোসেন রাজীব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে বেকসুর খালাস দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার হন আরেক পেসার রুবেল হোসেন।
রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনেন হ্যাপি। হ্যাপীর বিরুদ্ধেও প্রতারণার পাল্টা অভিযোগ আনেন রুবেল হোসেন।
এরপর হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগেও পরীক্ষা করা হয়।
পরে জামিন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যান রুবেল। বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার অন্যতম কারিগর তিনি। মডেল হ্যাপীও শেষ পর্যন্ত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
রুবেলের আগে ২০০৭ সালে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ওয়ান্ডে সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
অপির প্রথম স্ত্রী সাদিয়া হোসেন রুমনি দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন এবং আফজালুর রহমান নামে অপর ব্যক্তির প্রতারণা ও চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অপি।

অন্যরকম