Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৭: 69একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার তদন্ত শুরু হয়েছে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্েয দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে সাত বছর আগে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এই প্রথম কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হল।
একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি নিধন শুরুর পর প্রতিরোধ যুদ্ধে বাঙালি অনেক সেনা সদস্য যুক্ত হয়েছিলেন। তবে পাকিস্তানেও আটকা পড়েন অনেকে সেনা কর্মকর্তা।
একাত্তরে বেসামরিক রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর পাশাপাশি বাঙালি সেনা সদস্যদের কেউ কেউ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে স্বজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন।
তাদের মধ্েয রংপুরে দুজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান হান্নান।
তিনি রোববার ধানমণ্ডিতে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত কয়েকজন বাঙালি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
“একটি ঘটনা আমরা জেনেছি- ওই সময় রংপুরে একটি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিলৃসেখানে কয়েকজন বাঙালি অফিসারের সম্পৃক্ততা ছিল।”
এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে জানিয়ে হান্নান খান বলেন, “দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরেকজন পলাতক।”
বিষয়টি তদন্তাধীন বলে এনিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্ত সংস্থার প্রধান।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিষ্পত্তির পর এই পর্যন্ত ছয়জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরা সবাই রাজনীতিক; তাদের পাঁচজনই জামায়াতে ইসলামীর নেতা, একজন বিএনপি নেতা।
এছাড়া আর যারা দণ্ডিত, তারাও জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগের নেতা।
জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে জানিয়ে হান্নান খান বলেন, “আশা করছি, এ বিষয়ে উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত আমরা পাব।”
আরও যুদ্ধাপরাধীকে নিয়েও তদন্ত চলছে। বাগেরহাটের এমন ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনে ডাকে তদন্ত সংস্থা।

বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ থানায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রস্তুত এই প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের ৪৫তম প্রতিবেদন।
এই ১৪ জনের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, বাকি ১০ জন পলাতক।
এরা হলেন- খান আশরাফ আলী, খান আকরাম হোসেন (গ্রেপ্তার), সুলতান আলী খান, রুস্তম আলী মোল্লা, ইদ্রিস আলী মোল্লা (গ্রেপ্তার), মকছেদ আলী “িার, শেখ উকিল উদ্দিন (গ্রেপ্তার), শেখ ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, মনিরুজ্জামান হাওলাদার, হাশেম আলী শেখ, আজহার আলী শিকদার ও আব্দুল মকবুল মোল্লা (গ্রেপ্তার)।