রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার আবদুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসাকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ৯টার দিকে থেকে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘মুসাকে পুঠিয়া থানা পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’
তবে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, জঙ্গি কানেকশনের অভিযোগে মুসাকে আটক করা হয়েছে। অবশ্য তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের হাজি আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মুসার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের গুরুতর অভিযোগ আছে। সম্প্রতি দুদফা মুসার যুদ্ধাপরাধের সরেজমিন তদন্ত করেন আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের সদস্যরা।
পুঠিয়ার বাঁশবাড়িয়া, পশ্চিমভাগ এবং গোটিয়া গ্রামে আদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ তদন্ত করে সংস্থাটি।
মুসার হাতে নিহত পশ্চিমভাগ গ্রামের শহিদ আবদুস সামাদের স্ত্রী রাফিয়া বেগমের দাখিলকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত হয়।
উল্লেখ্য, একাত্তর সালে বাঙালি ও আদিবাসী হত্যা ও লুটপাটের পর দেশ স্বাধীন হলে মুসা রাজাকার ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর ৭৫ সালে গোপনে দেশে ফিরে আদিবাসী পল্লীর ১৫২ বিঘা জমি দখলের চেষ্টায় অপতৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ মুসাকে আটক করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার হাতে নিহত ও নির্যাতিতদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। এখন মুসার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুরও দাবি করছেন তারা।