Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭: 66দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় সব ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকায় বেনাপোল বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সোমবার বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভারত থেকে আসা রফতানি পণ্যবোঝাই ট্রাক খালি করা হচ্ছে।আমদানি রফতানিসহ বন্দর ও শুল্কভবনের সকল কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কাজ করছে শুধু রফতানি পন্য নিয়ে কোন ট্রাক কিম্বা কাভার্ডভ্যান বন্দর ছাড়ছে না। ১২দফা দাবী আদায়ে ট্রাক লরি ও কভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধের ফলে বেনাপোলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বন্দর সড়কে আটকা পড়েছে শহ¯্রাধিক পন্যবাহি ট্রাক। তবে বন্দর ও কাষ্টমসের কার্য্যক্রম সচল রয়েছে বলে জানান বন্দর উপ পরিচালক আব্দুল জলিল।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজি জানান,১২দফা দাবী আদায়ের লক্ষে দেশব্যাপি ট্রাক লরি ও কভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধের কর্মসূচির কারনে বেনাপোল বন্দর থেকে কোন পন্যবাহি ট্রাক ছেড়ে যায়নি। নিরাপত্তার কারনে ছাড়া হয়নি বলে জানান তিনি। এর প্রভাব পড়েছে আমদানি রফতানি বানিজ্যে।বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচ’শ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ভারত থেকে আমদানি করা পন্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যায়। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘটে পন্য পরিবহন সম্পুর্ন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের উপ কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান,বিষয়টির জরুরী সরাহা হওয়ায় প্রয়োজন। সুরাহা না হলে বন্দর থেকে শত কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার–
বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন,পন্যপরিবহন বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে কাঁচামাল পেঁয়াজের অন্তত ৭০টি ট্রাক আটকে আছে।দু’একদিন বন্দরে পড়ে থাকলে এসব পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল গফফার বিশ্বাস তাদের দাবি প্রসঙ্গে বলেন,পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই না করতে প্রেস নোট জারি,অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন,ওয়েব্রিজে জরিমানা বাতিল, ১২ হাজার টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ, কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানো, অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার অপসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান,জ্বালানি তেলের দাম কমানো, ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে চালক নির্যাতন বন্ধ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডুু থানায় দায়ের করা অজ্ঞাত ৪০০ ট্রাক চালকদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের এই ধর্মঘট।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল আরো বলেন,দেশের ৭৫ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাচাঁ মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।পন্য পরিবহন বন্ধ থাকলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন।