খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭: পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানীর প্রতিবাদসহ ১২দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে পরিবহন মালিকও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে খুলনাসহ দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১জেলায় অনিদিষ্টকালের পন্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে স্থলবন্দ্র বেনাপোলে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। আটকে আছে হাজারও পন্যবাহি ট্রাক। পচে নষ্ট হচ্ছে মাছ পান,পিয়াজ ও ফুল সহ পচনশীল পন্য। সবজির দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুন। বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যাবহারকারী-ব্যাবসায়িরা সহ ক্রেতা বিক্রেতারা-বেকার হয়ে পড়ছে হাজার ও হ্যান্ডলিং শ্রমিক।
সবজি ব্যাবসায়ি রাজু আহম্মেদ বলেন,একদিনের ব্যাবধানে দাম গেছে বেড়ে। টমেটো কাচা মরিচ সহ সব সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫টাকা থেকে ২০টাকা। কাচা মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। ক্রেতারা বলেন,শীতের সবজির দাম এমনিতেই বেশী। তারপরও হরতাল অবরোধে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় গরীব মানুষের মরার উপর খাড়ার ঘা। ধর্মঘটের প্রত্যাহারের দাবী জানান ক্রেতা বিক্রেতারা।
অনিদিষ্টকালের এ পরিবহন ধর্মঘটে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানীকৃত পন্য বোঝাই প্রায় হাজারও‘ ট্রাক আটকা পড়েছে বন্দরে। এ সব ট্রাকের মধ্যে আমদানীকৃত পচনশীল পণ্য রয়েছে বেশীরভাগ ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিঘœ ঘটছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪থেকে ৫শ ট্রাক মালামাল খালাশ হলেও ধর্মঘটের কারনে তা বন্ধ রয়েছে। এদিকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২শট্রাক মালামাল ভারতে রফতানি হলেও ধর্মঘটের কারনে গতকাল কোন পণ্যবাহি ট্রাক ভারতে যায়নি। পণ্য লোড আন লোড অনেকাংশে বন্ধ থাকায় বন্দরে কর্মরত প্রায় ৩ হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক কাজ করতে পারছে না। বন্দরে খালি ট্রাক প্রবেশ না করায় তাদের এখন পার করতে হচ্ছে অলস সময়।
বেনাপোল আমদানি রফতানি কারক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন,টানা ২দিনের ধর্মঘটে আমদানি রফতানিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইন্ড্রাষ্টিয়াল কাচামাল সহ পচনশীল পন্য নষ্ট বাড়ছে। এর সুরাহা চান তারা।
বেনাপোল কাষ্টম সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা-তিতুমির আহম্মেদ জানান,সোমবার ৩১১ট্রাক পন্য বেনাপোলে এসেছে। ওপারে খালিট্রাক গেছে-৩০১টি। সকাল থেকে শতাধিক ট্রাক পন্য এসেছে বেনাপোলে-ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেই মালামাল গন্তবে যাবে বলে জানান তিনি।
বন্দরে আমদানীকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক থেকে মালামাল নামানোর কাজ চলছে ধীর গতিতে । ভারত-বাংলাদেশ যাতয়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল ও রয়েছে স্বভাবিক বলে জানান ইমিগ্রশন ওসি ইকবাল মাহমুদ।