খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গভীর নলকুপ বসানোর জায়গা দিয়ে এক প্রকার গ্যাস উদগীরণ হচ্ছে। উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নে বিছনা গ্রামের নতুন পাড়ার মোঃ বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে নতুন গভীর নলকুপ স্থাপন কালে ৫০ ফুট মাটির নিচে নলকুপের পাইপ যাওয়ার পর হঠাৎ বুদবুদ করে পাইপ দিয়ে এই গ্যাস উদগীরণ হয়।
গ্যাস উদগিরনের পর স্থাপিত গভীর নলকুপের পাইপ উঠানোর পর ওই গর্ত দিয়ে ৫ দিন যাবত বুদবুদ করে গ্যাস উদগীরণ
হচ্ছে। এই সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটাস্থলে এলাকার হাজার হাজার উৎসুক জনতা প্রতিদিন ভীড় জমে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জামালগঞ্জ উপজেলা, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্বালানী মন্ত্রনালয়ে সংবাদ পৌঁছে। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বাপেক্স এর একটি প্রতিনিধি দল গতকাল দুপুরে জামালগঞ্জের গ্যাস উদগীরণ স্থল পরিদর্শন করেন। বাপেক্স’র উপ ব্যাবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ার) নাছির উদ্দিন প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য দিয়াশলাই’র কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। দীর্ঘক্ষণ মৃদু আগুন প্রজ্জলিত হয় । পরে তিনি আগুন নিয়ন্ত্রন করার জন্য সুনামগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ম্যানেজার অখিল কুমার সিংহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। জামালগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত নির্মল কান্তি দেব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজার হাজার উৎসুক জনতার আইন শৃংঙ্খলার রক্ষায় সহযোগিতা করেন। বাপেক্স’র উপ ব্যাবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ার) নাছির উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে গ্যাস উদগীরণ হচ্ছে মূলত এটি হাজার বছর আগের বিভিন্ন গাছপালা পঁচে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে। ২০-২৫ দিন বুদবুদ আকারে এই ভাবে গ্যাস উদগীরণ হয়ে শেষ হয়ে যাবে। তবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আশেপাশের ঘর গুলোতে আগুন ধরানো বন্ধ, শ্বাসকষ্ট কোন রোগীর চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।