Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kখােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭:সুযোগ পেলেই একে অন্যকে খোঁচা দিতেন পেলে-ম্যারাডোনা। সময়ের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সম্পর্কটা তেমন সাপে-নেউলে নয়। একে অন্যের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাবোধ দুজনের। অবশ্য সাবেক ফুটবলার কিংবা বিশেষজ্ঞরা কেউ এগিয়ে রাখেন মেসিকে তো কারো চোখে সেরা রোনালদো। তাঁদের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই হয়ে আসছে তুলনাটা। না হওয়ার কারণ নেই। গত ৯টি ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরা।
মেসি পাঁচ আর রোনালদো জিতেছেন চারবার। তুলনাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ বছর ব্যালন ডি’অর আর ফিফার দ্য বেস্ট জেতা রোনালদোর ঘোর আপত্তি এমন তুলনায়, ‘তুলনার কিছু নেই। ক্রিস্তিয়ানো বরাবরই ক্রিস্তিয়ানো আর মেসি মেসিই। আমরা দুজনই কিংবদন্তির ফুটবলার। আমাদের ব্যক্তিগত আর দলীয় সাফল্যই বলছে সেটা।
মেসির কণ্ঠে সব সময় শ্রদ্ধা ঝরেছে রোনালদোকে নিয়ে। এই পর্তুগিজ যুবরাজের বেলায়ও তা-ই। দুজন দুই ক্লাবে খেলেন বলে মেসিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন তিনি, এর বেশি কিছু নয়, ‘তুলনাটা আমার পছন্দ নয়। আমরা দুজন আলাদা মানুষ আর করে যাচ্ছি নিজেদের কাজটা। দুজন দুই ক্লাবে খেলি বলে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু যখন দেখা হয় তখন শ্রদ্ধা করি এনে অন্যকে। মেসি-রোনালদোর তুলনাটা ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের সন্তানদের মধ্যেও। রোনালদোর ছেলেকে স্কুলের বন্ধুরা রাগায় ‘মেসি ভালো ফুটবলার’ বলে! এটাও পছন্দ নয় রোনালদোর, ‘এখন আমাদের সন্তানদের নিয়েও হচ্ছে তুলনাটা। তারা স্কুলে তুলনায় দাঁড় করায় যে কে বেশি দ্রুত কিংবা বুদ্ধিমান। সবই ক্রীড়া বাণিজ্য। ‘
কিছুদিন আগে রোনালদোর এজেন্ট জানিয়েছিলেন, ৩০০ মিলিয়ন ইউরোতে এই পর্তুগিজকে চায় চীনের এক ক্লাব। এমন প্রস্তাবে রাজি হননি রোনালদো। তবে স্পেনের ‘ডন ব্যালন’ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ‘রিয়াল প্রেসিডেন্ট পেরেজ মনে করেন, ২০১৯ সালে রোনালদোর তেমন কিছু দেওয়ার থাকবে না। এ জন্য সে সময় তাঁকে চীনের কোনো ক্লাবে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করতে চান তিনি। ‘ এমন গুঞ্জনের মাঝেই চীনে একটা পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ডংকুইদি’র সদস্যদের ভোটে ‘অল ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসের’ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদো। পুরস্কারটা জিতে আপ্লুত এই পর্তুগিজ দেখছেন ৪০ বছর বয়সেও খেলার স্বপ্ন, ‘খুব ভালো লাগছে পুরস্কারটা পেয়ে। এখনো দারুণ ফিট আমি। ফিটনেস ধরে রাখলে কে জানে খেলতে পারি ৪০, ৪২, এমনকি ৪৫ বছর পর্যন্ত। কেননা ফুটবলই আমার জীবনের সব কিছু।