খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ‘কথিত স্ত্রী’র মামলায় গ্রেফতার ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের যমুনা থেকে শাপলা সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারের স্বাভাবিক নিয়মেই তার এ সেল পরিবর্তন। প্রথম দিনের (বুধবার) পর আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিন সেখানেই ছিলেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা কর্মকর্তা বলেন, প্রথম দিনের মতোই আজও (বৃহস্পতিবার) তিনি কারাগারে সময় পার করেন। সাধারণ কয়েদিদের মতো স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা করছেন তিনি।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) একদিনের রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের যমুনা সেলে রাখা হয়। তবে কারাগারের স্বাভাবিক নিয়মেই যমুনা সেল থেকে শাপলা সেলে স্থানান্তর করা হয়। সাধারণত আসামিদের প্রথমে কারাগারের যমুনা সেলেই বন্দি রাখা হয়, পরে সেল পরিবর্তন করা হয়।
গত ২২ জানুয়ারি (রোববার) ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ওইদিন সকালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ‘কথিত স্ত্রী’র মামলায় রাজধানীর অদূরে আমিনবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। সম্প্রতি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে আরও একটি মামলা করেছেন ওই তরুণী।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। ওই ঘটনায় নাসরিন সুলতানা নামে ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। পরদিন যৌতুক আইনে আরেকটি মামলা করেন। তবে আরাফাত সানির মায়ের দাবি, তার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।