খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭: দেহের ওজন যাদের কম তারা কিভাবে ওজন বাড়ানো যায় সেজন্য উপায় খুঁজেন। এক্ষেত্রে কিছু খাবার বেশি করে খেলে ওজন বাড়তে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি খাবারের কথা।
১. ক্যালরিযুক্ত খাবার
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব খাবারে বেশি ক্যালরি রয়েছে, সেসব খাবার খাওয়ায় মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, বাদাম, চকলেট, বিভিন্ন বীজ, শুকনো ফল, পনির ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ইত্যাদিতে গুরুত্ব দিন।
২. পুষ্টিকর খাবার
যেসব খাবারে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খান। এক্ষেত্রে শুধু প্রোটিনই নয় অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানযুক্ত খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে দেহ যেন পর্যাপ্ত উন্নতমানের কার্বহাইড্রেট পায় সেজন্যও মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন বাদামি আটার রুটি, কলা, ঘি, নারিকেল তেলের খাবার, মুরগির মাংস, ডিম ও ডাল।
৩. সঠিক নাশতা
আপনার নাশতাগুলো যেন সঠিকভাবে কাজে লাগে সেজন্য মনোযোগী হোন। অস্বাস্থ্যকর নাশতা বাদ দিয়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন নাশতা খাওয়াতে গুরুত্ব দিন। এক্ষেত্রে কার্বহাইড্রেটযুক্ত নাশতা হতে পারে একটি ভালো উপায়। এছাড়া নাশতায় রাখতে পারেন প্রোটিনযুক্ত খাবার ও চীনাবাদাম।
৪. ছোট ছোট খাবার
আপনার দেহের ওজন যদি কম হয় তাহলে হয়ত আপনি একবারে বেশি খাবার খেতে পারেন না। আর এ কারণে শুধু প্রতি বেলার খাবার খেলেই হবে না, খাবারের মাঝখানে নাশতাও খেতে হবে বেশি করে।
৫. শারীরিক অনুশীলন
আলসেমি করে বসে থাকলে আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা কমে যাবে। আর এতে কমে যেতে পারে খাওয়ার রুচিও। তাই শারীরিক অনুশীলন করুন। তবে সব ধরনের শারীরিক অনুশীলন কাজে নাও আসতে পারে। এক্ষেত্রে ওজন বাড়ানোর জন্য অ্যারোবিক এক্সারসাইজ নয়, বরং ভারি ওজন তোলা কিংবা ইয়োগার মতো অনুশীলন সবচেয়ে ভালো।
৬. বেশি প্রোটিন
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উভয়ই খেতে হবে। মাছ, মাংসে রয়েছে প্রাণীজ প্রোটিন। পাশাপাশি সয়াবিন, বাদাম, ডাল ইত্যাদিও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. প্রোবায়োটিকস খান
পেটে খাবার ভালোভাবে হজমের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে উপকারি ব্যাকটেরিয়া। এক্ষেত্রে দই হতে পারে একটি ভালো সমাধান। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কিছুটা হলেও দই রাখুন।