খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭: ভারতে গরুর মাংস নিষেধ চেয়ে করা এক আবেদন দেশটির সুপ্রিমকোর্টে খারিজ হয়ে গেছে। শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত গরুর মাংস নিষেধ চেয়ে করা এক আবেদন খারিজ করে দেন।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে গরুকে ‘মা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং গরু জবাই ও গরুর মাংস খাওয়াকে অনেক পূজারীই ব্লাসফেমি বা খোদাদ্রোহ বলে মনে করে। খবর এএফপির।
তবে ভারতের মুসলিম, খ্রিস্টান ও নিন্মবর্ণের হিন্দুরাসহ কোটি কোটি সংখ্যালঘু জনগণ গরুর মাংস খায়। দেশটির ২৯টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র আট রাজ্যে গরু জবাই ও গরুর মাংস খাওয়া অনুমতি আছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও আরও কয়েকটি গোড়া ধর্মীয় সংগঠন অনেক দিন ধরেই সারা ভারতে গরুর মাংস নিষেধ বাস্তবায়ন করতে প্রচার চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে গরু জবাই, গরুর মাংস রাখা ও খাওয়া প্রমাণিত হলে ১০ বছর জেলসহ আরও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গরুর মাংস ইস্যুতে ভারতে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হয়। গোড়া হিন্দু সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সংখ্যালঘু জনগণের ওপর আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। হিন্দু সংগঠনগুলোর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৫ সালে উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরু জবাই করে মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুহাম্মদ আখলাক নামে ৫২ বছর বয়সী একজন মুসলিমকে খুন করা হয়। পরে সরকারের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গরু নয় খাসি জবাই করেছিলেন মুহাম্মদ আখলাক। মোদি প্রশাসনের অধীনে এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।