খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭: নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য সব থেকে বড় ভূমিকা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। সেই কারণে আজ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটা একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যদিও এভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা সংবিধানে নেই। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোন আইনও আজ পর্যন্ত করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি ৩১টি দলের সাথে বৈঠক করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এজন্য তাকে ধন্যবাদ। সেই সাথে বর্তমান সরকারকেও ধন্যবাদ।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ড. ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম চেয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলকেই যে নাম দিতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কোন দল চাইলে নাম দেবে, না চাইলে না দেবে। তবে যেই সব রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটিকে নাম দেবেন তাদের করণীয় হবে, যে ব্যক্তির নাম সার্চ কমিটিতে প্রস্তাব করবেন সেই ব্যক্তির সাথে প্রস্তাব করার আগে অবশ্যই আলোচনা করে নেয়া। কেননা দেখা গেল, একটি দল একজন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করলেন তিনি হয়তো নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্য কিন্তু কোন কারণে তিনি নির্বাচন কমিশনার হতে ইচ্ছুক নন। তখন সেটা একটা নতুন আলোচনার ইস্যু হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। কিভাবে নির্বাচন কমিশনাররা পদে এলে ভালো হবে মনে করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সংবিধানে ১১৮ নম্বর অনুচ্ছদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। আসলে আমাদের একটা আইন অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল এবং সেখানে কিছু বিষয় স্পষ্ট করারও একটা বিষয় ছিল। যেমন নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়গুলো কতটুক এবং সেই আইনে এই বিষয়গুলোও স্পষ্ট থাকার দরকার ছিল কারা সার্চ কমিটিতে আসতে পারবেন। যেমন অনেক দেশে সার্চ কমিটিতে থাকে সরকারি দলের প্রধান এবং বিরোধী দলের প্রধানসহ অন্য আরো অনেকে।