Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 68বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট আটক করেছে বলে জানিয়েছেন একজন মানবাধিকার আইনজীবী। বাংলাদেশি এই তরুণ শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে মঙ্গলবার বিমানবন্দরে নামার পর তাকে আটক করা হয়।
মানবাধিকার আইনজীবী ইমান বুকাডুম এক বার্তার মাধ্যমে জানান, ছাত্রটি বাংলাদেশ থেকে ৩০ ঘন্টা বিমান ভ্রমণ শেষে জেএফকে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে আইসিই(ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট) হেফাজতে নেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রটি এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এরপর সিবিপি(কাস্টমস এবং বর্ডার প্রতিরক্ষা বাহিনী) তাকে ইংরেজিতে তিনটি ভিন্ন কক্ষে ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও সে ইংরেজিতে মোটেও দক্ষ ছিল না এবং সুদীর্ঘ ৩০ ঘন্টা বিমান ভ্রমণ করেছিল।
ইমান বাকাডুম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করেননি। কিন্তু তিনি ওই তরুণকে রক্ষার জন্য সহকর্মী আইনজীবীদের সহায়তা কামনা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ছাত্রটির অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে জানান, আটক করার পর সে বার বার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি ছাত্রটিকে প্যারোলে মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারবে এরকম দক্ষ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সন্ধান করেন। তিনি বলেন, সে আত্মহত্যা করার মতো অবস্থায় রয়েছে। সে দিনে ৭ বার আমাকে ফোন করে তাকে মুক্ত করার জন্য কান্নাকাটি করে। আমি তার ফোনে একশ ডলার পাঠিয়েছি। সে বিরামহীন ফোন করে চলছে এবং কান্নাকাটি করছে। পুরো বিষয়টিই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার মতো। ইমান তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, আইসিই হেফাজতে তাকে প্রহার করার হুমকি দেয়া হয়। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে চিৎকার করে তার সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু তরুণটি তাদের ভাষা পুরোপুরি বুঝতে এবং বলতে অপারগ। এছাড়া কিছুক্ষণ পর পর তার দেহ তল্লাশি করে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি তরুণটিকে নিউজার্সির অভিবাসী আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এটি সবচেয়ে খারাপ অভিবাসী আটক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অবশেষে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার জন্য শুনানি ধার্য করা হয়েছে।
গত শুক্রবার নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। যদিও ওই সাত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। কিন্তু এরপর থেকেই বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে হয়রানির বেশ কয়েকটি খবর পাওয়া গেছে।