Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 22রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় আগাম হলুদ তোলা শুরু হয়েছে। হলুদ চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবং হলুদ চাষের মাঝে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় তা চাষিদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। ফলে চাষিরা হলুদের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। মৌসুমের শুরুতে হলুদের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা হলুদ তোলা বাছাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চারঘাট কৃষি স¤প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সরদহ ইউনিয়ন ও ভায়ালক্ষীপুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও চারঘাট উপজেলার যে পরিমান জমিতে হলুদ আবাদ হয়েছে তাতে ফলন বাম্পার হলেও কৃষকরা কাঙ্খিত দাম পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজারে হলুদ ভালো দাম পেয়ে তারা খুশি। উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ সরকার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলিত মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে আড়াই থেকে ৩ টন উৎপাদিত হয়েছে। হলুদের এই ফলন কৃষকদের কাছে সন্তোষজনক। বাজারে হলুদের গুড়া দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হলুদের দামও বাড়তে শুরু করেছে। চারঘাট অনুপমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও নন্দনগাছী বাজারে হলুদ ব্যবসায়ী গিয়াস আলী জানান, নতুন হলুদ বাজারে এলেও বাজারে গুড়া হলুদের দাম কমছে না। এবার ভালো ফলন হওয়ায় চাষিরা ন্যায্য দামে লাভবান ও খুশি হবেন। বর্তমানে চারঘাট উপজেলা প্রতিটি হাট বাজারে প্রতিমণ দেশিয় পাবনা হলুদ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফারাম হলুদ ৫৪০ থেকে ৬২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দাম অব্যাহত থাকলে যেসব কৃষকের নিজেদের জমি আছে তাদের লাভ হলেও বর্গা চাষিদের লাভ-লোকসান হবে না বলে মনে করেন। চারঘাট উপজেলার পাটিয়াকান্দী গ্রামের চাষি জানামুল মন্ডল জানান, আমার আড়াই বিঘা জমিতে ৩৭ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। তার মতে চলিত মৌসুমে হলুদের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে। এবং বাজারে যে দামে হলুদ বিক্রি হচ্ছে তাতে কৃষকরা লাভবান হবে। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, গত বছর কৃষকরা হলুদের ভালো দাম না পাওয়ায় চলিত মৌসুমে পাবনায় ও ফারাম হলুদ চাষে ঝুঁকে পড়েন। তবে এ বছর হলুদ ভালো ফলন হয়েছে অন্যদিকে চলিত বছর দেশিয় হলুদে চেয়ে গড়িমুথা বিক্রি করে ভালো অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সাদেক বলেন, এবার হলুদ মৌসুমে সেচ দিতে হয়নি বললেই চলে। তাছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। ফলে এ বছর চাষিদের অন্য বছরের চেয়ে খরচ কম হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে এবার হলুদ চাষাবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।