Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 7ভারত সরকারের উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা অরবিন্দ গুপ্ত তিস্তাসহ বিরাজমান অন্যান্য সব সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে সপ্তম ভারত-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্বের দূরদর্শিতায় নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। অতীতে ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে যে সমস্যা ছিল তার অধিকাংশই সমাধান হয়েছে। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সন্ত্রাসবাদ ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই সাধারণ সমস্যা। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি ফারুক সোবহান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার চাবিকাঠি রয়েছে নিরাপত্তা সহযোগিতার মধ্যে। দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা বাড়বে।
ফারুক সোবহান বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত শুধু এশিয়ায় নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে অগ্রগামী। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে উভয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সঞ্জয় জোশী বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার সমাধানে ভারত ও বাংলাদেশের পদক্ষেপ বিশ্বের জন্য মডেল। বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সমাপনী পরিচালনা করেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব পিনাক চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন- দিল্লিতে দুদিনব্যাপী এই নিরাপত্তা সংলাপের আয়োজন করে। আলোচনায় দুই দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আদিল চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবীর, ড. নিলুফার ইয়াসমিন, সাহাব এনাম খান, ফয়েজ সোবহান ও আশীষ বণিক।