খােলা বাজার২৪, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: যুক্তরাষ্ট্রে এবার গির্জার ওপর থেকে রাজনীতি চর্চার নিষেধাজ্ঞা উঠতে যাচ্ছে। গির্জাসহ বিভিন্ন করমুক্ত প্রতিষ্ঠানের ওপরে থাকা রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৪ সালের একটি আইনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাসহ অন্যান্য করমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেটি জনসন সংশোধনী নামে পরিচিতি।
গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির বার্ষিক জাতীয় প্রার্থনায় অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রার্থনায় জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহও অংশ নিয়েছিলেন।
এ সময় ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি পবিত্র অধিকার। কিন্তু এটি আমাদের চারপাশে হুমকি হয়ে আছে। এ কারণে আমি ‘জনসন সংশোধনী’ পুরোপুরি বাতিল করতে চাই। যাতে করে সবাই কোনো ভীতি ছাড়া স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পায়।”
প্রার্থনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক, ধর্মীয় নেতা ও অন্য অতিথিদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘মনে রাখবেন আমি এটা করব।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেন, ‘আসলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি পথ বের করতে চাচ্ছেন, যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে যাতে কোনো মানুষকে শাস্তি পেতে না হয় তা নিশ্চিত করা যায়।’
এদিকে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান দলের স্পিকার পল রায়ান বলেন, জনসন সংশোধনী বাতিলের বিষয়টি তিনি সব সময়ই সমর্থন করেন। তবে অনেকে এর সমালোচনা করে এটিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন।
উদারপন্থী সংগঠন পিপল ফর দি আমেরিকান ওয়ের নেতা পিটার মন্টগোমারি বলেছেন, ট্রাম্প আসলে ধর্মীয় রক্ষণশীলদের ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন, যারা তাঁকে সাহায্য করবে।
ক্ষমতায় বসার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। যেসব সিদ্ধান্তের অধিকাংশই বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন প্রশাসনে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগসহ বিশ্বের সাত মুসলিম দেশের ভিসা বন্ধের ঘোষণা রয়েছে।