খােলা বাজার২৪, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর যৌথ উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ‘মধুমেলা’ শুরু হয়ছেে রাজধানীর সোবহানবাগে অবস্থিত ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের নিচতলায় । আগামী ৫ হতে ৯ ফেব্রুয়ারি এ মেলা চলব। মেলায় সারা দেশের বভিন্নি অঞ্চলরে ২৫ জন মৌচাষী অংশগ্রহণ করছে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছলিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সনিয়ির সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এনডসিি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছলিনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার বাংলাদেশ এবং মৌচাষী কল্যান সমতিরি সভাপতি এ এফ এন ফখরুল ইসলাম মুন্সী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান।
প্রধান অতিথরি বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সনিয়ির সচবি বলেন বিসিক দেশব্যাপী ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা-সহায়তা প্রদান করে আসছে। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বৃদ্ধির র্কাযক্রমও পরচিালনা করছে । মধু উৎপাদন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সফল পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দু প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা প্রয়োজন। ফসলের মাঠে মৌমাছিরা বিচরণ করে সেখানে বাড়তি পরাগায়নের কারণে ফসলের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। তনিি এ আয়োজনরে জন্য ড্যাফোডিল বশ্বিবদ্যিালয়রে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বসিকি চেয়ারম্যান বলনে ১৯৭৭ সাল থেকে বিসিক মৌচাষের কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশে বর্তমানে দুই প্রজাতির যথা, অ্যাপিস মেলিফেরা এবং অ্যাপিস সেরেনা বা দেশজ প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা হয় । বাংলাদেশের মধুখাত একটি সম্ভাবনাময় খাত, বাংলাদেশে মধু বিশ্বের সবচেয়ে উৎকৃষ্টমানের মধু । মধু উৎপাদনরে সাথে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি সর্ম্পক যুক্ত । তাই এর জন্য সকলকে এগয়িে আসতে হবে ।
মৌচাষী কল্যান সমতিরি সভাপতি বলনে, মধু উৎপাদন, বোতলজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। বিসিকের এ মৌমাছি পালন কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমানে দেশে সনাতন পদ্ধতির আহোরিত মধুর চেয়ে গুনগতমান ভাল ও উন্নতমানের মধু উৎপাদন করা সম্ভব।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশব্যাপী মৌচাষে মৌচাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষের আয়বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব।
মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে । মেলায় প্রাকৃতিক উপায়ে আহরতি উন্নত মানের খাঁটি মধু তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যাবে। মেলায় অংশ নেয়া মধু বিক্রেতারা প্রত্যেকেই বিসিকের নিবন্ধিত মৌচাষী। এঁদের মধ্যে বিদেশে মধু রপ্তানিকারী চাষীও রয়েছেন।
সাধারণ মানুষের মধ্যে খাঁটি মধুর পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্যরক্ষায় এর উপকারিতা এবং মধু প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মধুমেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।