Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1kখােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি আমাকে সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। সংবিধান ও আইন মেনে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করব।
সোমবার রাতে নিয়োগপ্রাপ্তির পর তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন সিইসি নুরুল হুদা বলেন, এখনও পুরোপুরি প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় আসেনি। অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তারপর একটু গুছিয়ে উঠে গণমাধ্যমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করব। এর জন্য একটু সময় লাগবে।
ইসির সব সদস্যকে নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করবেন বলে জানান ৬৯ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা।
সোমবার রাতে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া নাম দিয়ে সার্চ কমিটি ১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করে।
এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নাম ছিল। এ তালিকায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছে আটজনের নাম । তারা হলেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ড. জারিনা রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিটিএফও।
এ তালিকা থেকেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার কমিশনার নিয়োগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দেয়া চারজনের নাম আছে। আওয়ামী লীগ থেকে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নানের নাম দেয়া হয়। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার এবং স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদের নাম দেয় বিএনপি।
আওয়ামী লীগের তালিকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং বিএনপির তালিকা থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদারকে কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে হতাশ হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আওয়ামী লীগ নতুন ইসিতে আস্থা আছে বলে জানিয়েছে।
নতুন সিইসি কেএম নুরুল হুদা বিসিএস ১৯৭৩ সালের একজন সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসরে যান। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরুর পর কুমিল্লা ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন । ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয় যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
২০১০ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (বিএমডিএফ)। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন পাঁচ বছর। এর আগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ), নর্থ ওয়েস্ট জোন কোম্পানির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টার ইউনিভর্সিটি ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন নুরুল হুদা।