খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক ২০ বন্দিকে কেন জামিন দেয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের পৃথক দুটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটি। দেশের বিভিন্ন কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে আটক বন্দিদের মধ্যে ২০ জনের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবীরা এই জামিনের আবেদন করেন।
আবেদনে দেখা যায়, বন্দিদের অধিকাংশই সর্বনিম্ন দশ বছর থেকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। যাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে প্রায় শত বার। কিন্তু শেষ হয়নি মামলার বিচার, মেলেনি জামিন। এ অবস্থায় সোমবার হাইকোর্টের দুটি ডিভিশন বেঞ্চে বন্দিদের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনকৃতদের মধ্যে কয়েকজন কিশোর বয়স থেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃঞ্চা দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চে দশ বন্দির জামিন চেয়ে পৃথক পৃথক আবেদন করা হয়। এই দশ বন্দি হলেন, নজরুল ইসলাম, সিরাজ, আলম মিয়া, মতিউর, ফয়েন, কাইলা কালাম ওরফে কালাম, মো. আবদুল খালেক, অপূর্ব দাস, মো. তৈয়ব শেখ, মো. সুমন ওরফে নুরুজ্জামান। বন্দিদের পক্ষে প্যানেল আইনজীবী আনিচ-উল মাওয়া বলেন, কারা বন্দিরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। কিন্তু মামলার বিচার শেষ হয়নি। ইতোপূর্বে হাইকোর্ট এসব বন্দিদের বিষয়ে যথাযথ আদেশ প্রদান করেছেন।
এদিকে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএইচ মো. নূরুল হুদা জায়গীরদারের ডিভিশন বেঞ্চে আরো দশ জন বন্দির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সাবিনা ইয়াসমিন মলি। এই বন্দিরা হলেন, রফিকুল ইসলাম রাজু, হায়দার আলী, ফারুক হোসেন, সেলিম মিয়া, রাজু জগন্নাথ, বসির উদ্দীন, মো. হাবিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না, নাসিরউদ্দীন ও গিয়াসউদ্দীন। শুনানিতে অ্যাডভোকেট মলি বলেন, রাজু ও হায়দার আলী ১৮ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। অপর আসামিরাও এক যুগ ধরে কারাগারে। কিন্তু তাদের জামিন মেলেনি। মামলার বিচার শেষ হয়নি। আদালত তাদের জামিন দিতে পারে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেয়।