Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ১৯৯৯ সালে দিল্লির ফিরোজা শাহ কোটলায় পাক-ভারত টেস্টম্যাচে ইচ্ছে করে রান আউট হয়েছিলেন ওয়াকার ইউনিস। কেননা ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ১০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড করতে দিতে চাননি ওয়াকার ইউনিস! অনিল কুম্বলের ১০ উইকেট-কীর্তির ১৮ বছর পূর্তিতে ওয়াসিম আকরাম হঠাৎ করেই বলে বসলেন কথাটি। কিন্তু ওয়াকার পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করে বলেছেন, মিথ্যে-ভাষণ আকরামের পুরোনো অভ্যেস।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অনিল কুম্বলে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছিলেন ইনিংসে ১০ উইকেট। দিল্লির সেই টেস্টে পাকিস্তানের শেষ উইকেট জুটিতে ব্যাট করছিলেন ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস।
ওয়াসিম বলেছেন, কুম্বলে ৯ উইকেট পেয়ে যাওয়ার পর ওয়াকার নাকি তাঁকে ইচ্ছা করে রান আউট হওয়ার কথা বলেছিলেন। ওয়াসিম তখন ওয়াকারকে বোঝান, কারও ভাগ্যে কিছু লেখা থাকলে তা থেকে তাকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা ঠিক নয়।
তবে এখন ওয়াকার বলেছেন, ইচ্ছা করে রান আউট হওয়ার কোনো ইচ্ছাই সেদিন তাঁর ছিল না। ক্যারিয়ারে কখনোই তিনি খেলার চেতনার বাইরে গিয়ে কিছু করেননি, ‘ব্যাপারটা কেমন দেখাত ভাবুন তো! কদর্য একটা দৃশ্য। ইচ্ছা করে আমি রান আউট হচ্ছি! আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনোই খেলার চেতনার বাইরে গিয়ে কিছু করিনি।’
ওয়াসিম আকরামের মন্তব্য সম্পর্কে ওয়াকারের কণ্ঠে বিরক্তিই ফুটে বেরিয়েছে, ‘ওয়াসিমকে বড় ভাইয়ের মতো মনে করি। কিন্তু সে যা বলেছে, তাতে সত্যের লেশমাত্র নেই। এটা ওয়াসিমের পুরোনো অভ্যেস। কোনো ঘটনায় অন্যকে জড়ানো, যে ঘটনার সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। ভারতের সেই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সে অযথাই ইনজামাম-উল-হকের প্রসঙ্গ টেনে বলেছে ২২ গজে তাঁর রানিং নাকি খুব বাজে ছিল। আমি ২৫ বছর ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু কোনো দিন অখেলোয়াড়োচিত কিছু করিনি।’
কুম্বলে সে ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়ে যাওয়ার পর ১০ নম্বরটি যেন কেউ না পান, সেটি নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল ভারতীয় বোলারদের মধ্যে।
উইজডেন অ্যালম্যানাকে সেই ম্যাচের বর্ণনায় লেখা হয়েছিল, অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন নাকি জাভাগাল শ্রীনাথকে উইকেট না নেওয়ার বোলিং করতে বলেছিলেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, কুম্বলে যেন জিম লেকারের রেকর্ডটি ছুঁতে পারেন। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন লেকার। এখনো এই কীর্তি শুধুমাত্র এই দুজনের।