খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার আগুনে পুরানোর ঘটনায় মামলা দায়েরের ১২দিন পর রাজু মিয়া (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাসী রাজু মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন-উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ(৩৭) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিম শেখের ছেলে আলম শেখ(২২)। তারা প্রকাশ্যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে গুরাফেরা করলেও পুলিশ কিছুই করছে। ফলে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়,গত ৩০শে জানুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় বাদাঘাট বাজারে প্রকাশে ৩ সন্ত্রাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও সজিব ওয়াজেদ জয় এর ফটো সংযুক্ত পোষ্টার ও বিলবোর্ড এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে নামিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় বাদাঘাট বাজারের দুই পাহারাদার তাদের কে বাঁধা দিলে তাদের কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এঘটনার প্রেক্ষিতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী রাত ৯টায় ঐ ৩জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় মামলা নং-৫ দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদার। এই মামলা দায়েরের কারণে সন্ত্রাসীরা ক্ষেপে গিয়ে গত ২রা ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পৈলনপুর সার্বজনিন কালি মন্দিরের ২টি কালি মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিজের আইডিসহ বিকাশ ফকির,বাদাঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ,শারমিন চৌধরী ও রাশেদ হাসান মুন্না সহ প্রায় ২০-৩০টি ফেইক আইডি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদারসহ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাদকসেবী,ইয়াবা ব্যবসায়ী,কলকি বাবা ও আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগকে কুলাংকারলীগ আখ্যায়িত করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে। এসব ঘটনার পরও পুলিশ কোন ভূমিকা না নেওয়ায় ফুঁসে উঠে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ। প্রতিদিন দিন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুধু হয় বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন। সেই সাথে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদার ৩জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আবার থানায় জিডি নং-২০৫ দায়ের করেন। এছাড়া একটি সূত্রে জানাযায়,এসিড মামলার প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার না করে গোপন রাখার জন্য সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদকে প্রতি মাসে ১০হাজার টাকা উৎকোচ দেয় সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ। এছাড়া ওই পুলিশ সুপারের বাসার হাট-বাজারও করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,গ্রেফতার হওয়া আসামী রাজু মিয়া স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে নিজে এবং হাবিব সারোয়ার আজাদ ও আলম শেখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার আগুনে পুরানোসহ মন্দিরের ২টি কালি মূতি তারা ভেঙ্গেছে। আমরা বাকি ২আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য,এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে ৬টি চাঁদাবাজি মামলা ও ৮টি জিডি এন্টিসহ বিভিন্ন দফতরে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।