Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

62খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরি, মুরালি বিজয় ও ঋদ্ধিমান সাহার জোড়া শতকে ছয় উইকেটে ৬৮৭ রান তোলার পর প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাবধানেই পা ফেলছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বেলার বাংলাদেশের দুঃখ হয়ে রইলো সৌম্য সরকারের আউট। উমেশ যাদবের বল রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার তালুবন্দি হন বাংলাদেশের এই ওপেনার। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪১ রান। ভারতের চেয়ে এখনও ৬৪৬ রানে পিছিয়ে মুশফিকুর রহীমের দল।

ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা চারটি টেস্ট সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েন কোহলি। ছাড়িয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও স্বদেশী রাহুল দ্রাবিড়কে। দু’জনই টানা তিন সিরিজে এমন কীর্তি দেখিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত ২০৪ রানে কোহলির অনবদ্য ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে। তাতে ছিল ২৪টি চারের মার। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। এর আগে চতুর্থ উইকেটে অজিঙ্কা রাহানের (৮২) সঙ্গে ২২২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস।
সেঞ্চুরি থেকে আঠারো রান দূরে থাকতে তাইজুলের ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন রাহানে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন সাহা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলীয় ৫৬৯ রানে অশ্বিনকে (৩৪) স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচবন্দি করেন মিরাজ। মুশফিকুর রহিমের স্ট্যাম্পিং মিসে ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহা (১০৬ অপ.) ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সাহার সঙ্গে ৬০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন রবিন্দ্র জাদেজা।
এর আগে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ ফেব্র“য়ারি) তিন উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। ক্যারিয়ারের ১৬তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন কোহলি।
‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচের প্রেক্ষাপটে কঠিন সময়ই পার করে বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম দিনে রানআউট ও ক্যাচ মিসের মাশুল গুণতে হয়! সেঞ্চুরিয়ান মুরালি বিজয় ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় মিরাজের ‘সৌজন্যে’ নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে যান।
ইনিংসের প্রথম বলেই লোকেশ রাহুলকে (২) বোল্ড করে দুর্দান্ত কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সাবলীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বিজয় ও চেতশ্বর পুজারা। দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রান তোলেন। নতুন জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপন করেন বিজয় (১০৮)। দলীয় ২৩৪ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার আগে ১৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন পুজারা। মিরাজের বলে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।