খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : বাংলাদেশে প্রতিবছর বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা দুই লাখের বেশি নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডাব্লিউটিও) প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ইউএনডাব্লিউটিও এই তথ্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কাছেও পাঠিয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) কর্তৃপক্ষ এই তথ্যকে অসম্পূর্ণ বলছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে ইউএনডব্লিউটিওকে পাঠানো হিসাবে দেখা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৪, এই চার বছরে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে যথাক্রমে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৭, ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৩, ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯ ও ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪ জন।
যদিও ২০১৬ সালকে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করার সময় পুলিশের বিশেষ শাখার উদ্ধৃতি উদ্ধৃতি দিয়ে বিটিবি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক আসে প্রায় ৬ লাখ ৪২ হাজার। এ ছাড়া সরকারের তিন বছর মেয়াদি ভিজিট বাংলাদেশ প্রকল্পের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়, তাতে উল্লেখ করা হয় ২০১২ সালে ৫ লাখ ৮৩ হাজার বিদেশি পর্যটক আসে। বিটিবির লক্ষ্য বলা হয়েছে প্রতিবছর পর্যটকসংখ্যা ১৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হবে। বিবিএস ও বিটিবি—এই দুই প্রতিষ্ঠানই বিশেষ শাখা থেকে তথ্য পেয়েছে দাবি করলেও সেই তথ্যে গরমিল রয়েছে। বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আখতারুজ্জামান খান কবির প্রথম আলোকে বলেছেন, বিটিবি এসব তথ্য পেয়েছে বিশেষ শাখা থেকে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেশে ২০০০-২০০৯ সালে বিদেশি পর্যটক আগমনের পরিসংখ্যানের একটি তালিকা দেওয়া রয়েছে। এই তালিকার শেষ বর্ষ ২০০৯ সালে ২ লাখ ৬৭ হাজার ১০ জন পর্যটক এসেছেন উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররাও দাবি করছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০১৩ সাল থেকে দেশে ক্রমাগত বিদেশি পর্যটক কম আসছেন। তবে পর্যটক ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে বিদেশিরা আর ভ্রমণে আসছেন না আগের মতো। সরাসরি নিজেরাই আসছেন।