Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

64খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানী তেহরানের আজাদ স্কয়ারে আয়োজন করা হয়েছিল এক সমাবেশের। ৩৮ বছর আগে ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতার এই দিনটিতে হাজিরও হয়েছিলেন হাজারো জনতা। শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে সেটিই রূপ নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশে।
বিপ্লবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলা ইরানের শাহর ক্ষমতাচ্যুতির দিনটিকে ‘ইসলামী বিপ্লব’ হিসেবে পালন করে ইরান। এই দিনটিতে দেশটির সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ তেহরানের আজাদি স্কয়ারে সমাবেশ করে।

কিন্তু এ বছর সেই সমাবেশ ভিন্ন রূপ নেয়। এর কারণটা অন্য। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ইরানসহ সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের আপিল বিভাগ ওই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এর পরও ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর কঠোর নজরদারির কথা জানায়।
আর যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘অনধিকার চর্চা’য় চটেছেন ইরানের নাগরিকরা। আর তাই ট্রাম্পবিরোধী নানা ব্যানার, ফেস্টুন আর কুশপুত্তলিকা হাতে তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী আজাদি স্কয়ারে। সেখানে ইরানের ঐতিহ্যবাহী বিপ্লবের গানের সঙ্গে সঙ্গে জনতা ট্রাম্প আর যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সমাবেশে খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে ইরান ভয় পায় না বলে উল্লেখ করেন। তিনি জনগণকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বিক্ষোভের ডাক দেন। খামেনির সঙ্গে একাত্মতা জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও।
রুহানি বলেন, ইরান কখনো মাথা নত করে বাঁচে নাই, বাঁচবেও না। তিনিও জনগণকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।