খােলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের শষ্য ভান্ডার নোয়াখালী শিম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাণিজ্যিকভাবে শিম চাষ করে ঘুরেছে অনেক কৃৃষকের ভাগ্যের চাকা। চলতি মৌসুমে জেলায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। লাভজনক ফসল হওয়ায় অনেকেই এ মৌসুমে শিম চাষ করেছেন।
জেলায় উল্লেখযোগ্য শিম চাষীদের মধ্যে খাইরুন্নেসা একজন। জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চর নোঙ্গলিয়া মিয়াজী গ্রামের বাসীন্দা তিনি। স্বামী আবুল কাশেম ও ৫ সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। চলতি মৌসুমে সিডিএসপি ও সাগরিকার কারিগরি সহায়তা নিয়ে ০১.৫০ শতক জমিতে সার্জন পদ্ধতিতে শিম চাষ শরু করেন তিনি। দেড় একর জমিতে শিম চাষে সর্ব মোট ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। শিমের পরিপূর্ণতা আসলে সিম এবং সিমের বিচি বিক্রি শুরু করেন খাইরুন্নেসা।
এ মৌসুমে তাঁর চাষকৃত জমি থেকে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকার সিম এবং সিমের বিচি বিক্রি করা হয়েছে। অপর দিকে শিমের পাশাপাশি শিম মাচানের (ঝাঁক) নীচে মাছ চাষ করে ৩০ হাজার টাকা লাভ করেন খাইরুন্নেসা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে শিম চাষ করে বদলে গেল খাইরুন্নেসার সংসার। এখন তাঁর পরিবারে দারিদ্রতার চাপ নেই। নেই কোন হাহাকার।
শিম চাষী খাইরুন্নেসা জানান, মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষে উপযোগী হওয়ায় সিডিএসপি এবং সাগরিকার কারিগরি সহায়তা নিয়ে অনেক ধার-দেনা করে দেড় একর জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে শিম চাষ করি। শিমের ফলন ভালো হওয়ায় দেড় একর জমির শিম বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা লাভ করি। এছাড়া শিমের মাচানের নিচে মাছ চাষ করে ৩০ হাজার টাকা লাব হয়েছে বলে জানান খাইরুন্নেসা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে শিম চাষ করে তাঁর সংসারে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলার বেশ কয়েকটি চরে মিম চাষে সফল্যতার বিষয়টি তুলে ধরে সিডিএসপি’র প্রকল্প কৃষি সমন্বয়কারী এমরান আহমেদ (নয়ন) বলেন, সিডিএসপি ও সাগরিকার কারিগরি সহায়তায় আমরা এ এলাকায় কৃষকদের পতিত জমিতে সার্জন পদ্ধতিতে সবজি ও মাছের সমন্বিত চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করি। এ পদ্ধতিতে কৃষকরা সারা বছর সবজি ফলাতে পারেন, বর্ষায় বাঁধের (কাঁধি) উপরে শসা, করলা, চিচিঙ্গ, শীতে সিমের চাষ, মাচার (ঝাঁক) নীচে মাছ চাষ করে ধানের তুলনায় ৩/৪ গুন বেশি আয় হয় এবং সারা বছরই চাষাবাদ করা যায়।