Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9kখােলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং সেচ ও কৃষিকাজে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সারাদেশে মোট ৭ হাজার ৬২০ কিলোমিটার খাল খনন বা পুনঃখনন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মন্ত্রী আরো জানান, ৪ হাজার ৮১৫ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ‘বাঁধ পুনর্বাসন এবং নদী খাল পুন:খনন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পানি সম্পদ মন্ত্রী এসব কথা জানান।
এরআগে বিকেল পৌনে ৫টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
খাল খনন বা পুনঃখনন প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে জমা রয়েছে জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রস্তাবিত ডিপিপিটি অনুমোদিত হলে মাঠ পর্যায়ের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বরাদ্ধ প্রদান করা হবে।
এম, আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী বলেন, ষাটের দশকের শুরু থেকে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত নির্মিত ১৩৯টি পোল্ডার উপকূলীয় এলাকায় পানি প্রবেশ রোধ, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়বহতা থেকে রক্ষা করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও জানমালের নিরাপত্তা বিধান করেছে।
উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ১২ হাজার ১৬০ কিলোমিটার এলাকা ৫ হাজার ১৬০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
বিগত ৮ বছরে তথা ২০০৮-০৮ অর্থবছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৭৯১ কোটি ১৭ লাখ টাকা বাঁধ সংস্কার ও মেরামত এবং অন্যান্য মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মোতাহার হোসেনের (লালমনিরহাট-১) এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, তিস্তা ব্যারেজে গুরুত্ব বিবেচনায় স্থায়ীত্বের লক্ষ্যে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।