খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১৯ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন। সোমবার লাহোর ও কোয়েট্টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে শুধু লাহোরেই নিহত হয়েছেন ১৬ জন। কোয়েট্টায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার লাহোরের ব্যস্ত রাস্তা মল রোডে রাজ্য বিধানসভা ভবনের সামনে সমাবেশ চলাকালীন শক্তিশালী বিস্ফোরণে পুলিশের ২ কর্তা-সহ ১৬ জন নিহত হন। আহত হন ৭৪ জন। হতাহতদের মধ্যে ২ পুলিশকর্তাকে বাদ দিলে বাকিরা ওষুধ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মী ও কেমিস্ট।
জানা গেছে, পাঞ্জাব প্রদেশের ড্রাগ পলিসি সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সোমবার লাহোরের মল রোডে রাজ্য বিধানসভা ভবনের সামনে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। সেখানেই আচমকা এই বিস্ফোরণ হয়। নিহতদের মধ্যে দু’জন কেমিস্টও রয়েছেন। নিহত দুই পুলিশ অফিসারের মধ্যে রয়েছেন লাহোরের ডিআইজি ট্রাফিক ক্যাপ্টেন মুবিন এবং এসএসপি গোন্দাল।
পাকিস্তানের মিডিয়ার দাবি, পাক তালিবানেরই একটি সংগঠন জামাত-উল-অহরার আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের মনে হয়েছে, এদিন আত্মঘাতী হামলাই হয়েছে। পুলিশ জানতে পারে মোটরসাইকেলে করে জনৈক এক ব্যক্তি সমাবেশস্থলে পৌঁছনোর পরপরই শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। পাকিস্তানের এক মন্ত্রীও দাবি করেছেন, লাহোরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের দাবি, একজন নয়, ঘটনাস্থলে ছিল ২ জন আত্মঘাতী জঙ্গি। বিস্ফোরণের পরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। হতাহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, রাতে কোয়েট্টায় আরও এক বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়েছেন। জখম ৯ জন। জানা গেছে, সারিয়াব রোডের করাচি স্টপের সামনে পড়ে থাকা বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ ঘটলে, বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের ২ কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে জখমদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম কমান্ডার আব্দুল রজ্জাক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।