খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ইরানে সরকারি সফরে এসে কর্মকর্তারা হিজাব পরায় বিরোধী দলের তোপের মুখে পড়েছে সুইডিশ সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সেক্যুলাররা।
সপ্তাহান্তে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ইরান সফর করেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেন। সফরে বাণিজ্য সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি সই হয়।
লফভেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইতিবাচক টুইট করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনী। তিনি বলেন, ইরানে সুইডেনের ‘ভালো খ্যাতি’ আছে।
কিন্তু সুইডিশ সরকারের ইরান সফরের ফোকাস চলে যায় অন্য একটা ইস্যুতে। সোমবার দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরান সফরে বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান লিন্ডেসহ নারী কর্মকর্তারা হিজাব পরেছেন।
দৈনিক এক্সপ্রেসেন’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সফরে প্রতিনিধিদলের ১৫ সদস্যের ১১ জনই ছিলেন নারী। সফরকালে সুইডিশ দূতাবাসের অভ্যন্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠান ছাড়া প্রায় পুরো সময়েই নারী কর্মকর্তাদের হিজাব পরে থাকতে দেখা যায়।
ইরানে জনসম্মুখে বের হতে হলে নারীদের চুল ঢেকে রাখতে হয় এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়। অনেকেই ঢিলেঢালা হিজাব পরতে পছন্দ করেন যেমনটা সুইডিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিন্ডেকে পরতে দেখা গেছে। অবশ্য বিদেশীদের স্বল্প সময়ের সফরের ক্ষেত্রে মার্জিত পোশাক পরার আইন রয়েছে।
এ ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছেন নিজের সরকারকে ‘নারীবাদী সরকার’ দাবি করে আসা প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেন। দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা এভাবে হিজাব পরার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটাকে ‘লজ্জাজনক’ বলছে অনেকে।
এদিকে এক্সপ্রেসেন-কে লিন্ডে বলেন, তিনি হিজাব পরতে চাননি। কিন্তু ইরানে নারীদের হিজাব পরার আইন রয়েছে। সচরাচর কেউ এই আইন ভঙ্গ করে না।