Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

hasanul-haq-inu-1খােলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, বিএনপি এবং তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের তাপ (ইনকিউবিটর) দেওয়ার যন্ত্র। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাঙালির জাতিরাষ্ট্র গঠনে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের ভূমিকা ও কাজী আরেফ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের তাপ দেওয়ার যন্ত্র ছেড়ে দিয়ে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপিকে নির্বাচনেও আসতে হবে, জঙ্গি-সন্ত্রাসের তাপ দেয়ার যন্ত্রটাও ছেড়ে দিতে হবে। এটাই হবে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক। ”

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমাদেরকে জঙ্গি ও রাজাকার মুক্ত, যুদ্ধাপরাধ মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ করতে হবে। জেনারেল জিয়াউর রহমান যিনি সামরিক জান্তা, তিনি গর্ত থেকে জঙ্গি এবং রাজাকারের সাপগুলোকে বের করে এনে তাপ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছেড়ে দেন। যার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিবাদের উত্থান দেখছি। বিএনপি এবং তার নেত্রী খালেদা জিয়া এখনও জঙ্গি-সন্ত্রাস ও রাজাকারের লালন পালন করছে। ‘
তিনি বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন হচ্ছে এই তাপ দেওয়ার যন্ত্র বাংলাদেশে থাকবে, কি থাকবে না। কাজী আরেফ সাহেব বলতেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে জঙ্গিবাদ যায় না, গণতন্ত্রের সঙ্গে রাজাকার যায় না, গণতন্ত্রের সঙ্গে সাম্প্রদায়কিতা যায় না। শহীদ জননী জাহানারা ইমামও একই তথ্য দিয়েছিলেন। সেখানে কোন মিট-মাটের জায়গা নেই। সুতারাং এই যে সিদ্ধান্তের কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার ফাঁসির দাবিটা উত্থাপিত হয়। এটা রুদ্ধ করার জন্য বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বিষয়ে কোন আপোস হয়নি। শেখ হাসিনা এই জায়গাতে একচুল ছাড় দেননি। ‘
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দুটো কর্তব্য, একটা হচ্ছে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশও করতে হবে, নির্বাচনও করতে হবে। দুটো কাজই করতে হবে, সেখানে আমি কাজী আরেফ ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, আরেফ ভাইয়ের নীতিতে বিশ্বাস করি, আমি বলবো নির্বাচনও হবে কিন্তু জঙ্গি এবং জঙ্গির সঙ্গিদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এই হচ্ছে পরিস্কার কথা।
শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে কাজী আরেফের চিন্তা ছিল সত্য শক্তিকে সংগঠিত করা। আজকে সেই শক্তি সংগঠিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত মিলে এই দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যদ্ধ হতে হবে। জঙ্গিবাদকে আজ মোকাবেলা করতে হবে। জঙ্গি প্রতিহত করা সহজ, কিন্তু জঙ্গিবাদ নির্মূল করা কঠিন কাজ। জঙ্গিবাদ একটা মতাদর্শ, এই মতাদর্শের বিরুদ্ধে আমাদের আদর্শকে নিয়ে মানুষকে তৈরি করতে হবে।
কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে কাজী আরেফের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন এম এ ভাসানী, এম এ জলিল, মাইনুল ইসলাম ময়না, হেনা খন্দকার, কবির চৌধুরী তন্ময়।