খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী পদের মনোনয়ন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অ্যান্ড্রু পাজডার। তিনি জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন, কিন্তু তাঁর প্রশাসনের হয়ে কাজ করবেন না।
স্থানীয় সময় বুধবার নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পাজডার। পাজডার বলেন, ‘অনেক বিবেচনা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর আমি শ্রমমন্ত্রী পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করলাম।’ ‘আমি এই প্রশাসনের হয়ে কাজ করব না। তবুও আমি প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ও তাঁর দক্ষ দলকে পুরোপুরি সমর্থন করি।’
তবে শ্রমমন্ত্রী পদে পাজডার চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেতে হয়। সিনেটদের কাছে থেকে প্রত্যাশিত ভোট না পেয়ে নাকি হারতে বসেছেন পাজডার। এমন অবস্থার মধ্যেই নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই রাশিয়ার দূতের সঙ্গে যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান বিতর্কের জের ধরেই ওই ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট প্রশাসনকে জানিয়েছিল, রাশিয়ার সঙ্গে অযাচিত যোগাযোগ ফ্লিনকে সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মাইকেল ফিন কথা বলেছেন বলে কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এর পর থেকেই ফ্লিনকে নজরদারিতে রাখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি দায়িত্বে না থাকা নাগরিকদের (প্রাইভেট সিটিজেন) কূটনৈতিক কার্য সম্পাদন অবৈধ। একজন প্রাইভেট সিটিজেন হিসেবে ফ্লিন ট্রাম্প প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়ার আগেই গত বছরের শেষের দিকে দূতের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।