খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে এই খাদ্যশস্যের উপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছেন জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলছেন, কোনো অবস্থাতেই এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না।
সচিবালয়ে বুধবার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যভাবে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। তবে এতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না।
“অসাধু ব্যবসায়ী তারাই, যারা মনে করছে কোনো রকম একটা অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে শুল্কটা প্রত্যাহার করাতে পারেন। কোনো অবস্থায় শুল্ক প্রত্যাহারের প্রশ্নই উঠে না।”
গণমাধ্যমে চালের দাম বাড়ার খবর আসায় প্রকৃত অবস্থা জানতে মিল মালিকদের সঙ্গে বসেছিলেন জানিয়ে কামরুল বলেন, “তাদের কাছ থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক বক্তব্য পেয়েছি। আমাদের কাছে ঠিক চিত্র তুলে ধরে তারা বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই।
“এবার মোটা চালের দাম বৃদ্ধির মূল কারণটা হচ্ছে গত বছর এই সময়ে ভারত থেকে আড়াই থেকে ৩ লাখ টন চাল এসেছে বিনা শুল্কে। সরকার শুল্ক আরোপের পর এবছর এই সময়ে ভারত থেকে চাল এসেছে ৩৭ হাজার টন।”
অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চাল আমদানি করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ট্যাক্স আরোপের ফলে এখন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।”
চলতি অর্থবছরে চাল আমদানির উপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার।
চালের বাজার স্থিতিশীল আছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমন মৌসুমের শেষ সময়ে ও বোরো মৌসুমের শুরুতে দাম সব সময়ই একটু বাড়ে, এ সময় দাম বাড়টাই স্বাভাবিক। তবে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
দুই মাস পর বোরো সংগ্রহ শুরু হলে বাজারে মোটা চালের অভাব থাকবে না জানিয়ে কামরুল বলেন, বর্তমানে ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। বাজারে চিকন চালের দাম খুব বেশি বাড়েনি।
সরকার ৩৩ টাকা কেজি দরে আমন চাল কিনছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার সিদ্ধান্ত ছিল আমরা ৩ লাখ টন আমন কিনব, সম্ভব হলে বেশি কিনব। এই মুহূর্তে ৩ লাখ ২৬ হাজার টন আমন আমাদের ঘরে চলে এসেছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আমন সংগ্রহ অভিযান চলবে। এখনও দৈনিক ৪০০ থেকে ৮০০ টনের চুক্তি হচ্ছে।”
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশীদ বলেন, মোটা চালের বাজার বেড়েছে এটা সত্য। যতটুকু বেড়েছিল তা থেকে আবার কেজিতে এক টাকা কমে গেছে।
“আশা করি নতুন করে আর চালের বাজার বাড়ার সম্ভাবনা নেই, দেশে পর্যাপ্ত চাল আছে। যে অবস্থায় গেছে তা স্থিতিশীল থাকবে ইনশাআল্লাহ।”