খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: পাঁচ বছরের তদন্তে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার রহস্য উদঘাটিত না হলেও আশা ছাড়েননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ওই হত্যা রহস্েযর মীমাংসা করতে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে।
“আমরা আশা করিৃআমি আশাবাদী, এটা বের করতে পারব।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিলেও তা না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
তার পরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর হত্যাকাণ্ডের আট মাস পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই খুনে জড়িত হিসেবে আটজনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারপরও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ার পর ডিবি ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলে হাই কোর্ট র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
তারপর পাঁচ বছর গড়ালেও এখনও এই হত্যাকাণ্ডের কূল-কিনারা হয়নি, যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আসছেন রুনির ভাই মামলার বাদী নওশের রোমান।
৪৬ বার সময় নিয়েও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিনকে তলব করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে ‘ফায়ার সেফটি ম্যানেজার কোর্সের’ সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
অগ্নি সচেতনতা নিয়ে বস্তিবাসীর মধ্েয সচেতনা বৃদ্ধির জন্য উদ্েযাগী হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “বস্তিতে বেশি আগুন লাগে। তাই ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মিলে এ সম্পর্কে তাদের ধারণা দিতে হবে। আগুন ধরে গেলে কী করতে হবে, বা অগ্রিম সতর্কতামূলক কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে জানাতে হবে।
মন্ত্রী দাবি করেন, দশ বছর আগের ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে এখনকার ফায়ার সার্ভিস এবং দশ বছর আগের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এখনকার নিরাপত্তা বাহিনীর ‘আকাশ পাতাল পার্থক্য’।
“আমরা প্রশিক্ষিত করেছি, আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। আমরা জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফায়ার সার্ভিস বলেন আর নিরাপত্তা বাহিনী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এরা সবাই যার যার কাজটি সঠিকভাবে করছে বলে আমরা অনেকখানি ঝুঁকিমুক্ত হয়েছি, অনেকখানি নিরাপদ থাকার সক্ষমতা লাভ করেছি।”
সনদ বিতরণ শেষে মন্ত্রী ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং মাঠে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর মহড়া দেখেন। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলী আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।