খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: চুলের নানা সমস্যার মধ্যে আগা ফাটা অন্যতম। আগা ফাটার কারণে চুল ফেটে দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে চুল লম্বা হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। চুল রুক্ষ এবং মলিন হয়ে পড়ে। তবে এই আগা ফাটার জন্য আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসই দায়ী। তাই জেনে নিন চুলের আগা ফাটার কারণগুলো-
১। সবসময় চুল উচু করে বেঁধে রাখা
আপনি যদি সব সময় চুল উঁচু করে অথবা পনিটেল করে বেঁধে রাখার অভ্যাস করে থাকেন, তবে তা আজই পরিবর্তন করুন। সব সময় একই ভাবে চুল বাঁধার কারণে চুলের সে অংশে স্ট্রেস তৈরি হয়। এ থেকে আগা ফাটা শুরু হয়। বিশেষ করে ভেজা চুলে পনিটেল বাঁধার কারণে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
২। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার কারণে
শ্যাম্পু চুল থেকে প্রাকৃতিক তেল দূর করে দেয়। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার কারণে চুলের তেল দূর হয়ে মাথার তালু রুক্ষ শুষ্ক করে তোলে। আর যত শুষ্ক রুক্ষ ত্বক, তত চুলের জট হওয়ার সম্ভাবনা। এই জট থেকে আগা ফাটা সৃষ্টি হয়।
৩। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানো
অনেকে এই কাজটি করে থাকেন। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। চুল শ্যাম্পু করার সময় মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৪। টাওয়েল দিয়ে চুল ঘষা
টাওয়েল বা গামছা দিয়ে চুল মোছার কারণে চুলে জটের সৃষ্টি হয়। আপনি যখন জট খোলার চেষ্টা করবেন তখন চুল ছিঁড়ে দু’ভাগ হয়ে যাবে। গোসলের পর টাওয়েল দিয়ে ভেজা চুলগুলো পেঁচিয়ে রাখুন। তবে গিঁট দেবেন না, এতে চুল জট বেঁধে যেতে পারে।
৫। শ্যম্পু করার সময় হাতের ব্যবহার করা
শ্যাম্পু করার সময় হাত দিয়ে চুল অনেকে ম্যাসাজ করে থাকেন। এতে চুল নরম হয়ে যায়। যার কারণে চুলের আগা ফেটে যায়। আঙ্গুলের পরিবর্তে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। চুল শ্যাম্পু করে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬। নিয়মিত ট্রিম না করা
সমস্যা শুরু হওয়ার আগে সেটি প্রতিরোধ করা সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত ট্রিম করলে চুলের আগা ফাটা সমস্যাটি সৃষ্টি হয় না। বিশেষ করে লম্বা চুল নিয়মিত ট্রিম করা উচিত।
৭। অতিরিক্ত আয়রন ব্যবহার করা
যারা ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করে থাকে তারা সাধারণত একই স্থানে বার বার আয়রন ব্যবহার করেন। এমনকি সময় কম থাকার কারণে দ্রুত আয়রন করেন। আর তখনই ভুল করে থাকেন। সময় নিয়ে চুল আঁচড়ে আঁচড়ে ধীরে ধীরে চুল আয়রন করুন।
৮। মাথার ওপর থেকে চুল আঁচড়ানো
চুল গোড়া থেকে অনেকে চুল আঁচড়িয়ে থাকেন। ওপর থেকে নিচের দিকে চুল আঁচড়ানোর জন্য চুলের উপর অনেক বেশি প্রেশার পড়ে। যার কারণে চুল দু ভাগ হয়ে আগা ফেটে যায়। তাই প্রথমে চুলের আগা আঁচড়ে নিন, তারপর মাঝের চুল এবং সবশেষে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত চুল আঁচড়ান। এতে সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ানো হয়ে যাবে।