Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 38 দিনাজপুরের নিউ মার্কেট খ্যাত ঐতিহ্যবাহী পৌর মার্কেটটির করুন অবস্থা বিরাজ করছে। দিনাজপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলার কারনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালিতলার পৌর নিউ মার্কেটটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। একই ভাবে গণেশতলায় দ্বীতল পৌর মার্কেট ও রামনগর পৌর মার্কেট ধ্বংসের দারপ্রান্তে যে কোন সময় মার্কেটটি ধসে পড়তে পারে এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে। স্বাধীনের পর পর ডাক্তার হাফিজ এবং মোঃ মহসীন পৌর চেয়ারম্যান থাকা কালীন দিনাজপুর শহরের ১০টি স্থানে পৌর মার্কেট নির্মাণ করা হয়। শহরের ব্যবসা বানিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে লোক ভবনে ১৯টি, গণেশতলায় ২৩টি, গণেশতলা পেট্রল পাম্প সংলগ্ন ৩টি, চকবাজারে ১১টি, রেলবাজারে ৭টি, বাসটার্মিনাল (উত্তর)এ ১২টি, মির্জাপুর বাস টার্মিনালে ২৫টি, টার্মিনাল ক্যান্টিনে ৫টি, রামনগর বাজারে ৩৭টি এবং কালিতলায় (নিউ মার্কেট) ৪৩টি সহ সর্বমোট ১৮৫টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়। দোকান ঘর নির্মাণেল পর তা ভাড়ার চুক্তিতে ব্যবসায়ীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এদোকান ঘর গুলি থেকে প্রচুর পরিমানে পৌরসভা প্রতি মাসে রাজস্ব আয় করতো। দীর্ঘদিন ধরে দোকান ঘরগুলি মেরামত ও সংস্কার করা হয়নি। ফলে দোকানঘর গুলি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ইতোমধ্যে নিউ মার্কেটটির ৪৩টি দোকান ঘর পরিত্যাক্ত হয়ে পরে আছে। ২/১টি দোকান ঘরে রয়েছে অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়। অন্যদিকে আম-লিচুর মৌসুমে গুটি কয়েক দোকান ঘর আড়ৎ হিসেবে বছরে ২০দিন ব্যবহার হয়। নিউ মার্কেটটির ছাদ চুয়ে জল পরে, দেয়ালের যেখানে সেখানে দেখা দিয়েছে ছোট বড় ফাটল, প¬াষ্টার খুলে লোহার সিক বেরিয়ে গেছে ভেঙ্গে পড়েছে বারান্দার কার্নিজ। ছাদের উপরে জন্ম নিয়েছে ঝার জঙ্গলের স্তুপ। লোকজন না থাকায় দিনাজপুরের পৌর নিউ মার্কেটটি এখন ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। গোচারন ভূমি আর মাদক সেবন ও জুয়ারীদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে পৌরসভার নির্মিত নিউ মার্কেটটি। আবার রামনগর পৌর মার্কেটের ৩৭টি দোকান ঘর এবং গণেশতলা পৌর মার্কেটের ২৩টি ঘর পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরিনত হলেও অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে সেখানে চলছে বেচাকেনা। অনেক দোকানদার ব্যবসা বানিজ্যের সার্থে নিজেরাই দাকান ঘরগুলি মেরামত করছেন। এব্যাপারে দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৌরসভার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা পয়সা না থাকায় কালিতলাস্থ নিউ মার্কেটসহ শহরের পৌর মার্কেটগুলো ভেঙ্গে নতুন ভাবে করা যাচ্ছে না। পৌর মার্কেটগুলোর বেহাল অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সরকারী ভাবে কোন বরাদ্দ পাওয়া গেলে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ন পৌর মার্কেটগুলো পূর্ণ নির্মানের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সামান্য ঝড় বা ভুমিকম্পে দোকানদার ও খরিদ্দাররা আতংকগ্রস্ত হয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। জড়াজীর্ন দোকান ঘরগুলি যেকোন সময় ভেঙ্গে পরে আহত বা নিহতর মতো দুঃখ জনক ঘটনা ঘটতে পারে। পৌরসভা কতৃপক্ষ দোকান ঘরগুলি দ্রুত মেরামত ও সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনই প্রত্যাশা দিনাজপুর শহরবাসীর।