খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পথ চলা শুরু বাংলাদেশের। এর পর ১৬ বছর পার হয়ে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটে বাংলাদেশ এখন তারুণ্যকাল পার করছে। এরই মধ্যে ৯৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের দল। সংখ্যার বিচারে যা নগণ্যই।
তবে বছরের হিসাবে শততম টেস্ট খেলার দিক থেকে ক্রিকেটের অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ১৮৭৭ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর শততম টেস্ট খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০, নিউজিল্যান্ড ৪২, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭, অস্ট্রেলিয়া ৩৫ ও ইংল্যান্ডকে ৩২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
১৯৩২ সালে প্রথম টেস্ট খেলার পর ১৯৬৭ সালে শততম টেস্টে ম্যাচ খেলে ভারত। ১৯৩০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের। ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শততম টেস্টের মাইলফলকে পা রাখে কিউইরা। ১৯৮২ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৮ বছর পর ২০০০ সালে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলে শ্রীলংকা। ১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট খেলার ২৪ বছর পর ১০০তম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করে জিম্বাবুয়ে।
সে দিক থেকে বিবেচনা করলে অবশ্য কম সময়ই লেগেছে বাংলাদেশের। যেটাই হোক না কেন আগামী মাসে শ্রীলংকা সফরের কলম্বোর পি সারা ওভালের দ্বিতীয় ম্যাচটি দিয়ে শততম টেস্টের মাইলফলকে পা রাখবে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ৯৮ টেস্ট ম্যাচ খেলে আটটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭৫টি হারের বিপরীতে ড্র করেছে মাত্র ১৫ ম্যাচে।
৭ মার্চ গলে শুরু হবে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। এরপর ১৫-১৯ মার্চ পি সারা ওভালের হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সেই টেস্ট দিয়েই শততম টেস্ট খেলবে টাইগাররা। ২৫ মার্চ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ও চার এপ্রিল দুই ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ৯৮৩টি টেস্ট খেলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ৭৯৭টি টেস্ট খেলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৫২০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত ৫০৮, নিউজিল্যান্ড ৪১৯, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। প্রোটিয়াদের চেয়ে কম টেস্ট ম্যাচ কম খেলেছে পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলংকা খেলেছে ২৫৬টি টেস্ট। আর এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে খেলেছে ১০১টি টেস্ট।
৯৮ টেস্টে মাত্র ৮ জয় নিয়ে জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে সবার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের হার মাত্র ৮.১৬ শতাংশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের চেয়েও এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। ১০১ টেস্টে ১১ জয় আর ২৬টি ড্র করেছে জিম্বাবুয়ে (১০.৮৯ %)।
৩৭৬ জয় (৪৭.১৭%) নিয়ে সার ওপরে অস্ট্রেলিয়া। ৩৭ শতাংশ জয় নিয়ে অজিদের পেছনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের জয় ৩৫ শতাংশ ম্যাচে। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান ৩১.৯৪%, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১.৭৩ শতাংশ, শ্রীলংকা ৩১.২৫ শতাংশ। ভারতের জয় ২৬.৯৬ শতাংশ ম্যাচে। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ২১.২৪ শতাংশ ম্যাচে।