Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 84আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দল ভারী করার প্রয়োজন নেই, ওরা বসন্তের কোকিল। বসন্ত এলে তারা আসে। আর বসন্ত চলে গেলে তারাও চলে যায়। তাই আওয়ামীলীগে পরগাছাদের ঠাঁই হবে না। এবং বিএনপি এখন নিজেরাই নিজেদের শত্রু। তাদের নেতায় নেতায় মারামারি, হানাহানি, কোন্দল। তাই বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির আন্দোলন করার মতো কোনো ক্ষমতাও নেই। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগী কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন,বিএনপি এখন নালিশবাদী দল। প্রত্যেক দিন শুধু নালিশ আর নালিশ। অর্জন নেই, ইতিহাস নেই, আন্দোলন নেই কিচ্ছু নেই। তবে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে ছোট করে দেখা যাবে না। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিই হবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি। প্রতিপক্ষকে দূর্বল ভাবলে চলবে না। তা ভাবতে গেলে পরিস্থিতি ৯১-এর নির্বাচনের মতো হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন,সরকারের উন্নয়নে ঘাটতি নেই, ঘাটতি আছে নেতাদের আচরণে। আচরণটা শুদ্ধ করতে হবে। নির্বাচনের দেরি নেই। মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেন। এখন ক্ষমতায় আছেন, কেউ কিছু বলছে না। আচরণ খারাপ হলে মানুষ ব্যালটে শাস্তি দিয়ে দিবে। তিনি বলেন,কে কী করেন, সব জানি। আমার নেত্রীও জানেন। দলে গণবিরোধী গডফাদার চাই না। জনপ্রিয় লিডার চাই। কর্মীবান্ধব নেতা হোন। কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। অনুপ্রবেশকারী বসন্তের কোকিলদের দলে ঠাঁই দেবেন না। ত্যাগি কর্মীদের নিয়ে কমিটি করবেন। কর্মীদের ত্যাগই এই আওয়ামী লীগ। পরগাছাদের নিয়ে কেউ দল ভারি করার চেষ্টা করবেন না। ওবায়দুল কাদের বলেন,মঞ্চের সামনে বসে থাকা সাধারণ কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের নিয়ে। আমরা কর্মীদের ব্যবহার করি। নিজেদের স্বার্থরক্ষার পাহারাদার বানাই। কর্মীদের বলি- কারও স্বার্থরক্ষার পাহারাদার হবেন না। তাহলে ভালো নেতা পাবেন না। অপকর্ম করলেও দলে ভালো লোক আসবে না। খারাপ লোক আমাদের দরকার নাই। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তিনি সমাবেশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৩৫ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য ড. আবদুল খালেক, নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, আয়েন উদ্দিন, আবদুল ওয়াদুদ দারা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, মীর ইকবাল, আতাউর রহমান, শহিদুজ্জামান শহিদ, আবদুল মান্নান, ইশরাফিল আলম, হাবিবুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, গোলাম রাব্বানী, মকবুল হোসেন, আবদুল ওদুদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আমজাদ হোসেন, আবদুল মজিদ, সাধন মজুমদার, শামসুর রহমান দুদু, মমতাজ উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আক্তার জাহান, সেলিনা বেগম, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সাত্তার, সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জয়পুরহাটের আরিফুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মইন উদ্দিন মণ্ডল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা লায়েব উদ্দিন লাবলু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগরের ডাবলু সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। পরে কর্মী সমাবেশ শেষে নাটোরের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাটাখালি পৌরসভা কার্যলয় পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে উপস্থিত হলে তাঁকে কাটাখালি পৌরসভার পক্ষ থেকে এক সংবর্ধনা দেয়া হয়।