Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 4ঢাকার ধামরাইয়ে স্বামীর পরকীয়ায় প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন করেছে পাষণ্ড স্বামী। নিহত পোশাক শ্রমিক শাবনাজ আক্তারের দেহ থেকে মস্তক আলাদা হয়ে যায়।
শাবনাজ ধামরাইয়ের ডুলিভিটা স্নোটেক্স পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ধামরাইয়ের কালামপুর বড় মসজিদ এলাকায়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ঘাতক স্বামী লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। সে কালামপুর বিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং রঙিন ঢেউটিন কারখানার শ্রমিক। মায়ের মরদেহের পাশে বসে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে চার বছরের আহাদ মিয়া।
স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শনিবার রাত ১১টার দিকে তাদের মধ্যে বচসা হয়। একপর্যায়ে স্বামী লিটন মিয়া রান্না ঘরে থাকা রাম-দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার স্ত্রী শাবনাজকে ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাবনাজের দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে ফেলে। এরপর সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মরদেহের গড় গড় আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে এসে শাবনাজের বিচ্ছিন্ন মরদেহ দেহ দেখতে পায়। রাতেই ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই নিয়ে আসে।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
পোশাক শ্রমিকের হত্যাকারী ঘাতক স্বামী কালামপুর বিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং রঙিন ঢেউটিন কারখানার শ্রমিক লিটন মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ছয় বছর আগে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর গ্রামের পরিবহন শ্রমিক শরিফুল ইসলামের মেয়ে মোসাম্মাৎ শাবনাজ আক্তারের সঙ্গে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার সদর গ্রামের লিটন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ছেলে আহাদ (৪)। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ সুখ-স্বচ্ছন্দেই অতিবাহিত হয়।
বছর খানেক ধরে স্বামী লিটন মিয়া পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
নিহত শাবনাজের চাচাত ভাই জুবায়ের হোসেন বলেন, বোন হারানোর বেদনা কোনোমতেই সইতে পারছি না। অবুঝ ভাগ্নের এখন কী হবে? লিটন যে কাজ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমি ওর দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।
অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, পোশাক শ্রমিক শাবনাজ স্বামীর হাতে খুন হওয়ার খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দীপক সাহাকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দীপক সাহা বলেন, তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।