খােলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দেশের রেমিটেন্স প্রধান উৎস ৭ দেশ থেকেই খারাপ খবর আসছে। প্রতি মাসেই উদ্বেগজনকভাবে কমছে বৈদেশিক আয়।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বড় চাপ পড়তে পারে এমন শংকা অর্থনীতিবিদদের।
প্রবাসী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেই আশংকাজনকভাবে কমছে আয়। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতাকে।
খোদ গভর্নরও স্বীকার করেছেন প্রবাসীরা সহজেই দেশে অর্থ পাঠাতে হুন্ডির বিভিন্ন মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
প্রবাসীরাও বলছেন, ডলারের দাম কমে গেছে। যার কারণে হয়রানিমুক্ত ও স্বল্প সময়ে দেশে অর্থ পাঠাতে ব্যাংকবহির্ভূত চ্যানেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন তারা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে। তবে দেশ থেকে জনশক্তি রফতানি বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যসহ সাত দেশ থেকেই রেমিটেন্স কমেছে ৭১ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা করে)। এসব দেশ হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুর।
আশংকাজনক হারে রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ব্যাংকের সভাকক্ষে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের এক কর্মশালায় তিনি বলেন, অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও রেমিটেন্স প্রবাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয় খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশি রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশগুলো ঘুরে রেমিটেন্স কমার প্রকৃত কারণ শনাক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যসহ সাত দেশ থেকে রেমিটেন্স কমার বিষয়ে গবেষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) সাত দেশ থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৯৮৩ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরে (২০১৪-১৫) ছিল ১ হাজার ৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশ থেকে রেমিটেন্স কমেছে ৭১ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশী টাকার হিসাবে ৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।