Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 31নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকায় ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ১০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জমি আত্নসাতের পায়তারা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারী জমি মধ্য স্বত্যভোগীরা দখল করার পায়তারা করছে। এ নিয়ে এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারী জমিতে দখলদারদের ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।
পাচক গ্রামের মজিবুর রহমান মোল্যা জানান , শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বন্দরের দক্ষিন পার্শ্বে ৬১ নং উপশী মৌজায় ৩৩৩,৩৩৪ ও ৩৩২ নং দাগের ৬৬ নং এসএ খতিয়ান ভুক্ত ৬ একর ৮৫ শতাংশ সরকারী জমি বিদ্যমান রয়েছে। ঐ জমি থেকে ১৯৫৯ সনে পাচক গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন মেলকার কে ১ একর ৬০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি জমির বছর বছর সেলামী পরিশোধ করে রশিদ গ্রহন করে আসছেন। ইতোমধ্যে উপশী গ্রামের ছাদেম আলী পাঠান নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কবুলত নামা তৈরী করে উল্লেখিত আমজাদ মেলকারকে দেয় জমি সহ বাকি সকল জমি বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছে।এ সংবাদ পেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কবুলত নামা বাতিল করে দেয়া হয়। বিক্রিত জমিতে ক্রেতাগন অবৈধভাবে ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে। একপর্য়ায়ে ক্রেতাগন বন্দোবস্ত গ্রহনকারী আমজাদ মেলকারের জমিতে ঘর বাড়ি তৈরী করতে গেলে তারা বাধা দেয়। এ সময় জনৈক ক্রেতা আবুল হোসেন কাজি তার ক্রয় সম্পত্তিতে ঘর দরজা তুলছে বলে দাবী করেন। এ পর্যায়ে খোজ খবর নিয়ে জানাযায় প্রভাবশালী ছাদেম আলী পাঠানের কবুলত নেয়া জমির কবুলত সরকার বাতিল করে দিয়েছে। এরপরে ও তিনি বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এ জমি বিক্রি করেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ১৭ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমান সাড়ে ১১টায় মৃত আমজাদ মেলকারের ছেলে আবুল মেলকারের পক্ষ নিয়ে ৩০/৪০ জন নারী পুরুষ গিয়ে ক্রেতাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় স্থানীয় ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে মেম্বার আমির হোসেন সিকদার বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য ঐ জমিতে নির্মিত সকল ঘরবাড়িতে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে আসে। এ ঘটনার পরে জনৈক ক্রেতা আবুল হোসেন কাজি নড়িয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা কতৃপক্ষ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আবুল কাজি। এ নিয়ে বন্দোবস্তকৃত পক্ষ ও ক্রেতাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ দিকে মধ্যস্বত্যভোগী একদল প্রভাবশালী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে সরকারী জমি দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান নুরুল হক বেপারী বলেন, সরকারী জমি নিয়ে দুগ্রুপের উত্তেনা দেখে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য একজন মেম্বার দ্বারা ঐ জমিতে নির্মিত ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে মীমাংসার জন্য সময় দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র দেখে প্রকৃত মালিক কে চাবি দিয়ে দেয়া হবে।

ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা অনিল কুমার বলেন,এ জমিটা ক শ্রেণীর ভিপি তালিকাভুক্ত জমি ছিল। এ জমির অংশ স্থানীয় আমজাদ মেলকার ১ একর ৬০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে প্রতি বছর নবায়ন করে আসছে। মাঝ খানে লীজের টাকা পরিশোধ না করাতে ছাদেম আলী পাঠান কৃষি জমি দেখিয়ে কবুলত নামা নিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করেছে। এরপর কবুলতনামা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আমজাদ মেলকারের ছেলে আবুল মেলকার পুনরায় ১ একর ৬০ শতাংশ জমির লীজের সেলামী পরিশোধ করে । আবুল মেলকার জমিতে দখলে গেলে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি আদালত ছাড়া নিস্পত্তি করার কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ওসি মোঃ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, বিরোধীয় জমি সরকারী সম্পত্তি বটে। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিয়েছেন বলে আমি মামলা নেইনি।