খােলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: মিরপুর পৌরসভার অধীন পশু হাট সহ সকল হাট-বাজার গোপনে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়র হাজী এনামুল হকের বিরুদ্ধে। হাটের সিডিউল কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, হাট-বাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচারিত জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ সহ পৌর ভবণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর কথা থাকলেও তা কোথাও পাওয়া যায় নি। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, গত ১৯/০২/২০১৭ ইং তারিখে মিরপুর পৌরসভার হাট-বাজারের সিডিউল ক্রয়ের শেষ দিনে দুপুর ২.৪০ ঘটিকার সময় পৌরসভার সিডিউল কিনতে গেলে পৌরসভার বড় বাবু আসাদুল হক ও হিসাব রক্ষক সুজন আলী কোন সিডিউল তাদের কাছে নাই এবং হাট-বাজারের সিডিউল বিক্রয় হচ্ছে কি না তা তাদের জানা নেই। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আনারুল ইসলাম কে অফিসে পাওয়া যায় নাই। পরে (আনারুলের) মোবাইল ফোনে সিডিউল ক্রয়ের কথা বললে, তিনি জানান মেয়র মহোদয় বলতে পারবেন, আমার জানা নাই। এ সময় ব্যবসায়ী মেসার্স আশরাফুল এন্টারপ্রাইজ, সদরপুরের প্রোঃ আশরাফুল ইসলাম, মেসার্স বসুন্ধরা এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ ফেরদৌস ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার ও মেসার্স রবিউল ইসলাম, মশানের প্রোঃ রবিউল ইসলাম মেয়র মিরপুর পৌরসভা বরাবর সিডিউল ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন এবং তার অনুলিপি বড় বাবুর কাছ থেকে রিসিভ করে পৌরসভা ত্যাগ করেন। ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়ার বরাবর আবেদন করেও হাট-বাজারের সিডিউল পাই নি বলে জানান। এছাড়াও মিরপুর থানা, সোনালী ব্যাংক লিঃ, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মিরপুর শাখাতেও কোন সিডিউল পাওয়া যায়নি। তাহলে জনগনের প্রশ্ন সিডিউল বিক্রয় কি মেয়র করছেন? উল্লেখ্য মিরপুর পশু হাটটি বর্তমান মেয়র হাজী এনামুল হক নাম মাত্র টাকা দিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তির নামে ইজারা নিয়ে তিনি ও তার ছোট ভাই কামাল খাজনা আদায় করে থাকেন। এদিকে পৌর কর্মচারীদের ৮ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। যদি সঠিক ভাবে পশু হাট সহ সকল হাট-বাজার ইজারা হয়, তাহলে ৫০ লক্ষ টাকার জায়গায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার ইজারা হবে বলে জানা যায়। এবং ইজারাকৃত অর্থ দিয়ে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র হাজী এনামুল হক কে তার ০১৭১৩-৯১৮৪৪৯ মোবাইল ফোন নাম্বারে দুপুর ৩.৪৫ মিনিট এবং ৫.৩৮ মিনিটে পুনরায় ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। একাধিক কাউন্সিলারদের সাথে আলাপ করলে হাট-বাজার ইজারার ব্যাপারে তারাও কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান। ভুক্ত ভোগী ব্যবসায়ীরা গত ১৯/০২/২০১৭ ইং তারিখে গোপনে হাট-বাজার ইজারা বাতিল করে, পুনরায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিডিউল বিক্রয় পূর্বক হাট-বাজার ইজারা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ, কুষ্টিয়া ও অধিনায়ক র্যাব-১২’র কাছে দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য মেহেরপুর জেলার বামুন্দি পশু হাটে ইজারা নিয়ে মেয়র হাজী এনামুল হক ও তার ভাই কামাল একই রুপ ভাবে টেন্ডার বাজি করে আসছে। মিরপুর পৌরসভার হাট-বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।