Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : 87প্রয়াত এসআই আকরাম হোসেনের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির বর্ণি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন।
বর্ণি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও পরিচয় নেই। দেখা সাক্ষাতও হয়নি। আমার ননদরা আমার স্বামীর ধন সম্পদের লোভে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে পরকীয়ার নতুন নতুন কাহিনী প্রচার করছে। মামলা-হামলা ও শিশু কন্যাসহ আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৯০ সালে খুলনায় আমার বাবা যখন চাকুরী করতেন এবং বাবুলের বাবার বাসার পাশে থাকতেন। তখন আমার বয়স মাত্র ৪ বছর। ওই বয়সে কারো সঙ্গে প্রেম করা সম্পূর্ণ অবান্তর ও অবাস্তব কাহিনী মাত্র। অথচ ননদ রিনি ওই সময় থেকে বাবুল আক্তারের সঙ্গে প্রেম ছিল বলে মিথ্যাচারে নেমেছেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে বাবুল আক্তারের সঙ্গে বর্ণির পরকীয়া সংক্রান্ত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা বশিরউদ্দিন আহমেদ।
বর্ণি বলেন, ‘এসআই আকরাম মৃত্যুর সময় বাবুল আক্তার জাতিসংঘ মিশনে দেশের বাইরে ছিলেন।’
বর্ণি আরো বলেন, ‘আমার স্বামী আকরাম হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঝিনাইদহের ৩য় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ননদ জান্নাত আরা পারভীন রিনি বাদী হয়ে আমার ফুফাতো ভাই সাদিমুল হক মুনকে ১নং আসামি এবং আমাকে, আমার বাবা বশির উদ্দীন ও মা সেলিনা খাতুনকে আসামি করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। কুপিয়ে ও স্যুপে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ আনেন তিনি। ওই মামলায় ফুফাতো ভাই মুনের সঙ্গে আমার (বর্ণির) পরকীয়ার কল্পকাহিনী উল্লেখ করা হয়। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে স্বামী আকরাম হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মর্মে আদালতে খুনের মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। আমার ননদ জান্নাত আরা রিনির খুনের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ের পর থেকে পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে কখনও বাবুল আক্তারের কোনও নামগন্ধ ননদরা কোথাও বলেননি। অথচ এখন ফুফাতো ভাইকে বাদ দিয়ে বর্তমান সময়ের আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমাকে নিয়ে নতুন কাহিনী সৃষ্টি করছেন কুচক্রী ননদরা।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ননদ জান্নাত আরা রিনির নম্বরে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে মহিলা কন্ঠে জানতে চাওয়া হয়,রিনিকে কী দরকার? সাংবাদিক পরিচয় দিলে রং নাম্বার বলে সংযোগ কেটে দেয়া হয়।