Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ :  12বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা সাধারণত সুন্দর মানুষদের প্রতি আকৃষ্ট হই। সুন্দর বলতে বুঝায় সাধারণত ভরাট চেহারা, বড় বড় চোখের অধিকারী মানুষদের। কারণ এই ধরনের চেহারার অধিকারী যারা তাদের জিনগত বা বংশগতির বৈশষ্ট্য ভালো হয়ে থাকে। আর ভালো জিনগত বৈশিষ্ট্য বা বংশগতি মানে হলো স্বাস্থবান বাচ্চা-কাচ্চা জন্মদানে সক্ষমতা।
কিন্তু তারমানে এই নয় যে যাদের চেহারা মডেলদের মতো নয় তারা একেবারে ফেলনা।জৈবিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কিছু উপায়েও নিজেকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে:

১. দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করুন
মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন, মানুষ যখন দলবদ্ধ থাকে তখনই তাদেরকে বেশি সুন্দর দেখায়। কারণ মানব মস্তিষ্ক একটি দলে থাকা সকল মানুষের চেহারাকে গড়পড়তাভাবে এক করে দেখতে চায়। দলবদ্ধ মানুষদেরকে আলাদা করে দেখেনা মানব মস্তিষ্ক। এতে একটি দলে থাকা দৈহিকভাবে কম সুন্দর লোকরা উপকৃত হন।
২. শেষ সময়ে কারো সঙ্গে সাক্ষাত করুন
১৯৭৯ সালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বার যখন বন্ধ করার সময় হয় তখন বিপরীত লিঙ্গের মানুষদেরকে একটু বেশি আকর্ষণীয় লাগে। কারো সঙ্গে কথা বলার শেষ সময়সীমা যত ঘনিয়ে আসতে থাকে তারা যেন ততই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন।
৩. বেশি বেশি হাসুন
গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দর চেহারা দেখার পর মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশটি উদ্দীপিত হয় সে অংশটি হাসিমুখ দেখলেও একইভাবে উদ্দীপিত হয়। আর সাদা ও সমান দাঁত মানুষকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। কারণ সম্ভবত তা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। আর নারীদের ক্ষেত্রে সুন্দর দাঁত হলো উর্বরতার নির্দেশক।
৪. লাল পোশাক পরুন
হৃদয়, গোলাপ এবং ভালোবাসার রঙ লাল। নারী-পুরুষ উভয়েই লাল রঙের পোশাক পরিহিত মানুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন।
এর কারণ সম্ভবত ইতিহাসের একটা বিশাল সময়জুড়ে লাল রঙ আভিজাত্য এবং ক্ষমতার প্রতীক ছিল। এমনকি এখনো লাল রঙ বিশেষ সক্ষমতার প্রতীক।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম্বস্ফোটনের সময় নারী শিম্পাঞ্জীরা অরক্তিম হয়ে ওঠে। এর মধ্য দিয়ে তারা পুরুষ শিম্পাঞ্জীদেরকে যৌনমিলনের আহবান জানায়।
৫. গলার স্বর পরিবর্তন করুন
আমাদের গলার স্বরও আমাদের আকর্ষণীয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীদের গলার স্বর উঁচু তাদেরকে বেশি আকর্ষণীয় মনে করা হয়। কেননা উঁচু গলার স্বরকে কৃশকায় দেহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
বিপরীতক্রমে পুরুষদের উচিৎ ভরাট ও গভীর স্বরে কথা বলার চেষ্টা করা। এ ধরনের গলার স্বরকে সুঠামদেহ কিন্তু কম আগ্রাসী বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাবা হয়।
৬. রসবোধ বাড়ান
নারী-পুরুষ উভয়েই সুক্ষ্ম রসবোধ সম্পন্ন মানুষদেরকেই জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে বেশি পছন্দ করেন। তবে রসবোধের মূল্যায়ন নারী-পুরুষ আলাদাভাবেই করেন। নারীরা তেমন পুরুষদেরকে বেশি পছন্দ করেন যারা তাদেরকে হাঁসাতে পারেন। আর পুরুষরা বেশি পছন্দ করেন সে নারীদেরকে যারা তাদের রসিকতায় বা কৌতুক শুনে প্রাণখুলে হাসেন।
কৌতুকপ্রবণ পুরুষদেরকে বেশি সামাজিক এবং বেশি বুদ্ধিমান মনে করা হয়। আর নারীরা এমন পুরুষদের সন্তানই পেটে ধারণ করতে চান বেশি।