খােলা বাজার২৪, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ওয়াকফ এস্টেটের দিনাজপর অফিসে জনবলের অভাবের কারনে জেলার প্রায় ৪৫০টি ওয়াকফ এস্টেট এর হিসেব নিকেশ ঠিকমত পাচ্ছে না সরকার। ফলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। মোতয়াল্লীরা মালিক সেজে কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিচ্ছে। এদিকে সরকারের লক্ষ নেই। দিনাজপুর জেলা অফিসে মাত্র ১ জন পরিদর্শক দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে কোন হিসেব নিকেশ সুষ্ঠভাবে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট। দিনাজপুর শহরের লিলি মোড় সংলগ্ন অবস্থিত .৩১২৫ শতক জমির উপর স্থাপিত এই মার্কেট। নিচতলায় গোডাউনসহ ৫৯টি দোকানঘর আর ২য় এবং ৩য় তলায় রয়েছে দুটি ব্যাংক, দুটি ভাড়া বাড়ি, একটি ছাত্রাবাস ও একটি মতোয়াল্লীর বাসগৃহ। ওয়াকফ এস্টেটের পরিদর্শক মোঃ মাহাবুবুর রহমান অনিয়মের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেন। যার স্মারক নং ২৭১/দি তাং-২০/০১/১১। তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ওয়াকফ এস্টেট এর মতোয়াল্লী মোঃ জিল্লূর রহিমের স্বপক্ষে মতোয়াল্লীর কোন কাগজপত্র নেই। ওয়াকফ এস্টেটের কোন ব্যাঙক একাউন্ট নেই।
নতুন ভাড়াটিয়াদের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা জমা গ্রহণ করে ব্যাংক হিসাবে না জমা দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। এ পর্যন্ত দোকানদারদের বিরুদ্ধে ১০/১১টি মামলা আদালতে রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় মতোয়াল্লী মোঃ জিল্লূর রহিম উক্ত সম্পদকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ বলে দাবী করেন। তিনি এককভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ব্যাংকের সম্পত্তি পরিচালনা করে আসছেন। যার কোন স্বচ্ছতা নেই। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় ভাড়াটিয়ার সাথে চুক্তি সম্পাদনের পর অনুমোদনের জন্য তা ওয়াকফ প্রশাসক মহোদয়ের অফিসে প্রেরণ করা হয় না। মামলার ক্ষেত্রে প্রশাসক মহোদয়ের অনুমোদন লাগে। তাও তিনি করেন না। আব্দুর রহিম সুপার মার্কেটের দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে ২১/৮/১৬ ইং তারিখে দিনাজপুর জেলার পরিদর্শক অডিটর মোঃ নুরুজ্জামান জানান তিনি আব্দুর রহিম সুপার মার্কেটের অনিয়মের কথা তিনি জানেন। কিন্তু তিনি বলেন জমা খরচের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার তার লোকবল নেই। আমি একাধারে অফিস প্রধান পরিদর্শক অডিটর। একমাত্র আমি একা এই অফিস চালাই। আমি অফিসে না থাকলে তালা বন্ধ থাকে। দিনাজপুর জেলার প্রায় সাড়ে চারশ ওয়াকফ এস্টেট রয়েছে। যা পরিদর্শনে গেলে বছর পার হয়ে যাবে। তাই আমি একা কি করব? তিনি বলেন রহিম সুপার মার্কেটের দুর্নীতি ও অনিয়ম জেনেও কিছু করার শক্তি নেই। শুধু উপর মহলে জানানো ছাড়া। হিসাব অনুযায়ী টাকা জমা হলে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক গুনে বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে দোকানের ভাড়াটিয়া জানান কোন দোকানদারের সঙ্গে মতোয়াল্লীর সু সম্পর্ক নেই। মোতয়াল্লী যখন মালিকের আচরণ করে তখনি ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। বিরোধের সুযোগে স্বদব্যবহার করে দুই পক্ষই ফায়দা লুটতে চায়। এদিকে মতোয়াল¬ীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি ফোন ধরে তার ছেলে।