Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭:  47আসছে অর্থবছরের জন্য উচ্চাভিলাসী রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রী প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের ছক তৈরি করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবি আর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবি আর সূত্র জানায়, চলমান অর্থবছর থেকে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীর দফতর থেকে নির্ধারিত ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার বিষয়ে এনবি আরকেও জানানো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে এনবি আরকে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

তবে খাতভিত্তিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এখনো চূড়ান্তভাবে ঠিক করা হয়নি। এনবি আর সূত্র জানায়, এক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলি হয়ে বাজেট ঘোষণার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। রাজস্ব আদায়ের প্রধান তিন খাত আয়কর, কাস্টমস শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কোনো খাতে বেশি পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হবে তা নির্ধারণ করবে পরিস্থিতির ওপর। নতুন মূসক আইন যদি কোনো কাটছাঁট ছাড়াই পুরোটা বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ভ্যাট হবে রাজস্ব আদায়ের প্রধান ক্ষেত্র। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে রাজস্ব আদায়ের নেতৃত্বে আয়কর খাতকেই নিয়ে আসা হবে। কারণ ইতোমধ্যে দেশে করদাতার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ অতিক্রম করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিতও এনবি আরের ওপর সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবি আর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘আসছে অর্থবছরের বাজেটে ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এমনই বলা হচ্ছে। তবে এখনো কোনোকিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা যত বড়ই হোক না কেন তা আমরা অর্জনে কাজ করব। এনবি আর বর্তমানে সকল পক্ষকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে সম্মানিত করদাতাদের সেবা বাড়াতে আমাদের কোনো আপস নেই।’
চলতি অর্থবছর এনবি আর প্রায় ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে মূসক বা ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৭৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ৭৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা ও শুল্ক থেকে ৫৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।