
সম্প্রতি কানাডা ফেডারেল কোর্ট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক দলকে কানাডার একটি কোর্ট সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেছেন। আমরা এই কানাডা কোর্টের রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমাদের ঐতিহ্য রয়েছে মহান ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার পতন আন্দোলন।
এই দেশে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি ২০ দলীয় জোটসহ জাতীয়তাবাদ ও গণতান্ত্রিক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বারবার জনতার ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকল মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে চলছে। সেই দলকে সন্ত্রাসী অভিযুক্ত করায় আমরা বিস্মিত এবং উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোটারবিহীন সরকার চলছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তাদেরই আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার গভীর চক্রান্ত চলছে এবং এই সকল রাজনীতিক অপকর্মের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছে বর্তমান শাসকশ্রেণীর আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকেরা। আমরা মনে করি, সরকার দেশীয় ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বিদেশে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে জাতীয়তাবাদী শক্তির ভ্যানগার্ড জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিকে তথাকথিত ইমেজ সংকটে ফেলে দেয়ার জন্য এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এমন ঘটনা ঘটানোর জন্য উস্কিয়ে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে কানাডা কোর্টের প্রতি আহ্বান জানান আপনাদের এই রায় প্রত্যাহার করুন। বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচিত করেন। কারো দয়া ও দাক্ষিণায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী হননি। বরং জনগণের রায় ও ভালোবাসায় তিনি বারবার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন আগামীদিনেও গণতন্ত্রের স্বার্থে জনগণ তাকে সামনে এনে গণতন্ত্র রক্ষা করবেন।