খােলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আবারও তিন হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের স্থিতি দাঁড়ায় তিন হাজার ২১০ কোটি (৩২.১ বিলিয়ন) ডলার। গত বছর ৪ নভেম্বর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধের পর তা ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানান, বুধবার দিনের কার্যক্রম শেষে রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ২১০ কোটি ডলার ছিল। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে আট মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আর আগামী মার্চের শুরুতে আকুর জানুয়ারি-ফেব্র“য়ারি মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ তিন হাজার ২০০ কোটি ডলারের ওপরেই অবস্থান করবে।
গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে ৩২ গুণ। রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো আকুর দেনা বকেয়া রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৬ বছরের মাথায় সেই রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
মূলত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভর করে রিজার্ভ বাড়ছে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। এর পরও রিজার্ভ বাড়ার কারণ হিসেবে রপ্তানি আয় এবং বিদেশি সাহায্য বাড়ার কথা বলছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪.৩৬ শতাংশ। এই সাত মাসে বিদেশি সাহায্য বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেখা যায়, এই ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বাড়ে ৮.১৮ শতাংশ।