খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে শনিবার জাতীয় আদিবাসী পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বেসরকারি সেচ্ছাসেবি সংগঠন জনউদ্যোগ ‘সমতলের আদিবাসীদের ভূমিকা’ বর্তমান প্রেক্ষিত ও করণীয় শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে।সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী নেতা সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ ফিলিমন বাস্কে। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র সরেন, জনউদ্যোগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুন, সিপিবি জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সভাপতি মমতাজুর রহমান বাবু, শ্রমিক নেতা অলোক সরকার, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রধান, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম লাছু, নাগরিক পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, প্রবীর চক্রবর্ত্তী, ওয়াজিউর রহমান রাফেল, প্রতিমা সরকার ববি, আদিবাসী নেত্রী রবিনা সরেন, উপাধাক্ষ্য জহুরল কাইয়ুম, লেখক ও গবেষক পার্ভেল পার্থ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, বাংলাদেশীদের আদিবাসীরাই বিশ্বের সর্বাধিক নিপীড়িত স¤প্রদায়। সংখ্যা গরিষ্টতা এবং নানা শোষণ ও নির্যাতনের যাঁতাকলে পৃষ্ট হয়ে তারা এখনও প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছেন। আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র সরেন বলেন, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইন ১৯৫০ এর ১৭ ধারায় বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত জেলা প্রশাসক ও রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ারসহ স্যাটেলমেন্ট অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সাব-রেজিষ্টাররা তিনটি পৃথক মন্ত্রণালয়ের অধীন কার্যাদি সম্পাদন করেন। এ সকল মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে মারাত্মক সমন্বয়হীনতা লক্ষনীয়। এ সমন্বয়হীনতাকে ঠিক করে ৯৭ ধারায় বর্ণিত কার্যধারা অনুসরণ করে হস্তান্তর আইনত অবৈধ।
সভায় বক্তারা অবিলম্বে সমতলের আদিবাসীদের পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য ভূমি অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।