Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: 75‘বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাঁড়া।’
ওপরের চরণগুলো কার লেখা, ছড়াটির শিরোনামই বা কী? জানি, গ্রাম বাংলার ছেলেবুড়ো সকলেই একবাক্যে বলবেন ছড়ার অংশবিশেষ আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লিচু চোর কবিতার। কিন্তু এই ছড়াটি যে চুয়াডাঙ্গার মাটিতে বসেই কবি লিখেছিলেন। এ খবর হয়তো কেউই তেমন জানি না। না জানারই কথা। ‘লিচু চোর’ কবিতাটি যে চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় লেখা, এর পক্ষে আমি হয়তো তেমন দলিলিক কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারবো না। তবে জেলার অনেক গুণী ব্যক্তিই এটি স্বীকার করেছেন যে, লিচু চোর কবিতার ভাব, ভাষা, আচরণ ও তার উপস্থাপনের ঢং চুয়াডাঙ্গার পরিবেশকেই চিহ্নিত করে।
চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনেক স্মৃতি। একাধিকবার তিনি এসেছেন কার্পাসডাঙ্গায়। এখানে বসে তিনি রচনা করেছেন অনেক কালজয়ী লেখা।
জানা গেছে, ১৯২৬ সালে বিপ্লবী হেমন্ত কুমার ও মহিম সরকারের আমন্ত্রণে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে স্ব-পরিবারে চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় আসেন এবং টানা দু’মাস অবস্থান করেন। সে সময় তিনি থাকতেন মহিম সরকারের আটচালা ঘরে। মহিম সরকারের নাতি প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল এখন সেই ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। তারা আটচালা ঘরটি নিজেদের উদ্যোগে একই রকম রেখেছেন। দু এক বছর পরপরই খড় দিয়ে তৈরি করে ঘরের আবকাঠামো ঠিক রাখা হয়। প্রকৃতি বিশ্বাস বলেন, এই আটচালা ঘরটি ভেঙে এখানে পাকা বাড়ি তৈরি করা যায়। কিন্তু কবির স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ঘরটিকে একই রকম রাখা হয়েছে। কবির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আটচালা ঘরের সামনে একটি ফলক স্থাপন করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট হতে ১৯২৬-২৭ সালে বাবু মহিম সরকারের আমন্ত্রণে সপরিবারে এসে এই আটচালায় প্রায় দুই মাস বাস করেছিলেন। মহিম সরকারের কন্যা শ্রীমতি আভারাণী ও শিউলি রানী কবির কাছে গান শিখতেন।