খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সব ধরনের প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় অর্জন করবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বর্তমানে সারাবিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পোশাক শিল্পের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। রফতানিমুখী শিল্পগুলোর জন্য আমরা পণ্যের শুল্ক মওকুফ করে দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প বর্তমানে আন্তর্জাতিক সকল মানদন্ড বজায় রেখে চলছে। প্রত্যেকটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের মাধ্যমে এটা শতভাগ করা হয়েছে। পৃথিবীর আর কোন দেশের গার্মেন্টস কারখানায় শতভাগ ট্রেড ইউনিয়ন নেই। সুতরাং ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের একটা নিজস্ব পলিসি আছে। বাংলাদেশও নিজস্ব পলিসি দিয়ে চলবে। পৃথিবীর সবাই এখন বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছে। আর এটা হয়েছে আমাদের নিজস্ব পলিসি দিয়ে চলার করণে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেকে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনাদের কথা না শোনার কারণে নানা অপবাদ দিয়ে পোশাক শিল্পকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা পারেনি। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমরা নিজেদের পলিসি অনুযায়ী চলার করণে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৮২ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ শিল্পের বিকাশের জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিবে। আমি বিশ্বাস করি তৈরি পোশাক শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, সিপিডির সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক নাজনীন আহমেদ, মার্কসের বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কান্ট্রি প্রধান স্বপ্না ভৌমিক, এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মেরিন রামা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার।